
মোঃ শাহজাহান বাশার, স্টাফ রিপোর্টার
আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশ্লেষক, স্টেইট ইউনিভার্সিটি অব নিউ ইয়র্কের সহকারী অধ্যাপক ও বীরপ্রতিম শিক্ষাবিদ ড. মোহাম্মদ ইমরান হোসাইন আনসারী পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন ও দীর্ঘ ১২ বছরের প্রবাসজীবন শেষে মাতৃভূমিতে প্রত্যাবর্তন করায় তাঁকে সংবর্ধনা জানিয়েছে কুমিল্লার বুড়িচংয়ের অন্যতম সামাজিক সংগঠন ‘বাঁধন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন’।১১ জুলাই শুক্রবার, বিকেলে বুড়িচং উপজেলার ফকির বাজার স্কুল অ্যান্ড কলেজ মিলনায়তনে এই বর্ণাঢ্য নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কোরআন তেলাওয়াত এবং জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এলাকার বিশিষ্টজন, শিক্ষাবিদ, রাজনীতিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সচিব ড. মোঃ সানোয়ার জাহান ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তানভীর হোসেন, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক অ্যাডভোকেট আ হ ম তাইফুর রহমান, ফকির বাজার স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট ফারুক আহমেদ, অভিভাবক সদস্য মোঃ ওমর ফারুক এবং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ফকির বাজার স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ পিজিউল আলম। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের বিশিষ্ট অধ্যাপক ড. আব্দুল লতিফ, অধ্যাপক মোঃ মোশারফ হোসেন, সাবেক উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ কামাল হোসেন, সিনিয়র প্রভাষক মোঃ আতাউর রহমান, বাকশীমূল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক পলাশ, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা কায়েদ আহমেদ চৌধুরী, উপদেষ্টা মোঃ বিল্লাল হোসেন, সভাপতি মোঃ ইকবাল হোসেন চৌধুরী ও সহ-সভাপতি মোঃ আব্দুল ওহাব।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক ছাত্রনেতা ফারুক আহমদ, ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবুল বাসার, কাশেদুল হক চৌধুরীসহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ ও শুভানুধ্যায়ীরা।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে ড. ইমরান আনসারীর আন্তর্জাতিক খ্যাতি, দেশপ্রেম, শিক্ষা ও গবেষণায় অবদানের প্রশংসা করেন এবং তাঁকে কুমিল্লার তথা বাংলাদেশের অহংকার হিসেবে অভিহিত করেন। তাঁরা বলেন, তাঁর অর্জন তরুণ সমাজকে নতুন প্রেরণা ও আত্মবিশ্বাস দেবে।
ড. ইমরান আনসারী সংবর্ধনার জবাবে আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, “এই সম্মান শুধু আমার একার নয়, এটি আমাদের এলাকার, আমাদের বাংলাদেশের সম্মান। আমি চেষ্টা করব দেশের জন্য, সমাজের জন্য, নতুন প্রজন্মের জন্য কিছু করতে।” তিনি দেশের উন্নয়ন ও শিক্ষাক্ষেত্রে ভূমিকা রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানটি একটি প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হয়। এলাকার সর্বস্তরের জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি এক অনন্য স্বাক্ষর হয়ে রয়ে যায় বুড়িচংয়ের ইতিহাসে।