ভারি বৃষ্টিপাত ও ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের কারণে কুমিল্লার গোমতী নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তবে গতকাল রাত থেকে বৃষ্টিপাত কিছুটা কমে আসায় পানির বৃদ্ধির হার কিছুটা কমেছে।
বুধবার (৯ জুলাই) রাত ১২টায় গোমতী নদীতে পানির স্তর ছিল ৯ দশমিক ৪২ মিটার। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সকাল ৯টায় তা বেড়ে দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৬৮ মিটারে, অর্থাৎ ০.২৬ মিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সকালে টিক্কারচর, চান্দপুর, ঝাঁকুনিপাড়াসহ আশপাশের চরাঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, অনেকেই নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছেন। কেউ কেউ আবার বেড়িবাঁধের ওপরে অবস্থান নিয়েছেন। নদীর পানি বাড়তে থাকায় দেবীদ্বার, আদর্শ সদর, বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া, মুরাদনগর, তিতাস ও দাউদকান্দি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বাঁধ ভাঙার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
টিক্কারচরের বাসিন্দা ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্মকর্তা মো. আবদুল মালেক বলেন, গতকাল বিকেলেও পানি এতটা ছিল না।
সকালে উঠে দেখি পানি অনেক বেড়েছে। গতবারের তুলনায় এবার পানির গতি অনেক বেশি মনে হচ্ছে। যদি বাঁধ ভেঙে যায়, তাহলে চরম বিপর্যয় হবে।
কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালীউজ্জামান জানান, গোমতী নদীর বিপৎসীমা ১১ দশমিক ৩০ মিটার।
বর্তমানে পানি প্রবাহিত হচ্ছে এর চেয়ে ১ দশমিক ৬২ মিটার নিচ দিয়ে। তবে ভারতের ত্রিপুরা অঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে পানি আরো বাড়তে পারে। সেই পরিস্থিতিতে নদীর বেড়িবাঁধে ভাঙনের আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আবেদ আলী বলেছেন, গোমতী নদীর পানি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগাম বন্যা প্রস্তুতিসহ ৫৮৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি, প্রয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এএনবি২৪ ডট নেট"একটি বহুল পঠিত অনলাইন বাংলা পোটাল, এটা কোন প্রিন্ট দৈনিক পত্রিকা নয়।
প্রকাশক, মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান কালাম,
প্রগতি স্বরণী, ঢাকা-১২২৯
+৯৬০৭৩৩৯৬৯১
+৮৮০১৬৪৭০৫৩৪৪৯
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন। anbnewsbd@gmail.com
২০১২-২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত – এএনবিটোয়েন্টিফোর ডট নেট/এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।