
মোহাম্মদ মাহামুদুল হাসান কালাম বুড়িচং, কুমিল্লা:
কুুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলা ২নং বাকশিমুল ইউনিয়নের ধর্মনগর গ্রামের বাসিন্দা মোঃ শাহিন মিয়া, পিতা মৃত আঃ মুনাফ, দীর্ঘ ১৫ বছর ভারতের একটি কারাগারে বন্দি থাকার পর দেশে ফিরেছেন। মানসিক সমস্যাজনিত কারণে প্রায় ১৬ বছর আগে তিনি নিখোঁজ হন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার বিষয়ে ভাইরাল হওয়া একটি পোস্টের সূত্র ধরে উদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
যশোর বেনাপোল সীমান্তে দায়িত্বপালনরত মানবাধিকার কর্মী মোঃ শফিক মিয়া ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া পোস্ট দেখে শাহিন মিয়ার বিষয়টি শনাক্ত করতে তাৎক্ষণিকভাবে বাকশীমুল ইউনিয়ন বিএনপির নবকমিটির সভাপতি জসিম উদ্দিন, কাজি মাহাবুব হোসেন কে সাথে নিয়ে (১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি) কে বিষয়টি অবগত করেন । এরপর যাচাই-বাছাই করে নিশ্চিত হওয়া যায়, তিনি নিখোঁজ মোঃ শাহিন মিয়াই।
পরিবারের অনীহার পরও বিএনপি নেতা জসিম উদ্দিন ব্যক্তিগত ও সামাজিকভাবে উদ্যোগ নিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহায়তায় উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করেন। সহায়তাকারীদের মধ্যে ছিলেন—বুড়িচং উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান মনির ,মোহাম্মদ দুলাল মিয়া (আজ্ঞাপুর), সালাউদ্দিন আহমেদ (ছয়গ্রাম), আবুল কাসেম (১নং ওয়ার্ড মেম্বার), সহিদুল ইসলাম (বিএনপি নেতা), ,রফিক মিয়া (ধর্মনগর) প্রমুখ।
সকলের আর্থিক সহযোগিতায় ৫,০০০ টাকা সংগ্রহ করে শাহিন মিয়ার ভাই মোঃ সোহেল মিয়াকে যশোরে পাঠানো হয়। পরে বেনাপোলে আনুষ্ঠানিকভাবে শাহিন মিয়াকে গ্রহণ করা হয়। কুমিল্লায় ফিরে আসার পর আত্মীয়স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীরা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।
বাকশিমুল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, “এটি ছিল মানবতার ডাক। একজন মানুষ হিসেবে আমার দায়িত্ব ছিল তার পাশে দাঁড়ানো। আমরা চাই তিনি সুস্থ ও সম্মানজনক জীবন যাপন করতে পারেন।”এই ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দেয়—নিষ্ঠা, মানবিকতা ও সামাজিক একাত্মতা থাকলে হারিয়ে যাওয়া মানুষকেও ফিরে পাওয়া সম্ভব।