কুমিল্লায় গ্যারেজে অভিযান চালিয়ে ২ কোটি টাকার ভারতীয় মোবাইলসহ দুটি প্রাইভেটকার উদ্ধার

মোঃ শাহজাহান বাশার,স্টাফ রিপোর্টার

ফায়ার সার্ভিস এলাকার এমআরসি বিল্ডিং ও অরনি সিপি পার্ক হোল্ডিং নং-১ এ পুলিশের চাঞ্চল্যকর অভিযান

কুমিল্লা শহরের বাগিচাগাঁও ফায়ার সার্ভিস এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় চোরাই মোবাইল ফোন ও দুটি প্রাইভেটকার উদ্ধার করেছে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। শনিবার (তারিখ উল্লেখযোগ্য হলে যোগ করা যাবে) গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে এসব পণ্য ও যানবাহন জব্দ করা হয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা।

থানা সূত্রে জানা গেছে, বাগিচাগাঁও এলাকার এমআরসি বিল্ডিং এবং অরনি সিপি পার্ক হোল্ডিং নম্বর-১ এর একটি বাসার গ্যারেজে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে দুটি প্রাইভেটকারের ভেতর থেকে প্রায় ২ কোটি টাকার সমমূল্যের ভারতীয় মোবাইল ফোন সেট উদ্ধার করা হয়। মোবাইলগুলো অবৈধভাবে ভারত থেকে পাচার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, উদ্ধার হওয়া মোবাইল সেটগুলো দেশে বাজারজাত করে অবৈধভাবে বিপুল অর্থ উপার্জনের একটি বড় চক্র সক্রিয় রয়েছে। উদ্ধারকৃত প্রাইভেটকার দুটি ব্যবহার করা হতো এসব মোবাইল ফোন পাচার ও পরিবহনের কাজে। এসব গাড়ি নিবন্ধন নম্বর যাচাই-বাছাই করে মালিকদের শনাক্তের কাজ চলছে।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) [নাম উল্লেখযোগ্য হলে] জানান, “আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল যে বাগিচাগাঁও এলাকায় একটি আন্তর্জাতিক মোবাইল চোরাকারবারি চক্র সক্রিয় রয়েছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে দুটি গাড়ি ও বিপুল পরিমাণ ভারতীয় মোবাইল উদ্ধার করেছি। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।”

তিনি আরও বলেন, “এই ধরনের মোবাইল ফোন বৈধভাবে আমদানি না হয়ে দেশে প্রবেশ করলে তা সরকারকে রাজস্ব বঞ্চিত করে এবং বৈধ ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়।”

ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে এবং চক্রটির পেছনে কারা রয়েছে তা উদঘাটনে তদন্ত জোরদার করা হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকে জানান, গ্যারেজে প্রাইভেটকার দাঁড়ানো থাকলেও এ ধরনের বিপুল পরিমাণ চোরাই মোবাইল ফোন সেখানে ছিল, তা আগে কেউ বুঝতে পারেননি। পুলিশের অভিযানের পর এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

উল্লেখ্য, কুমিল্লা সীমান্ত এলাকা হওয়ায় এখান দিয়ে ভারতীয় পণ্য, বিশেষ করে মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন প্রযুক্তিপণ্য পাচারের অভিযোগ নতুন নয়। তবে নগরীর ভেতর এই ধরনের গ্যারেজ ব্যবহার করে পাচারকৃত পণ্য রাখার ঘটনা সম্প্রতি নজরে এসেছে, যা আরও গভীর তদন্তের দাবি রাখে।