মতপার্থক্য, মানবতা ও ইসলামের শিক্ষা।

মোহাম্মদ মাহামুদুল হাসান কালাম।
মানুষ ভিন্ন—চিন্তায়, দৃষ্টিভঙ্গিতে, বিশ্বাসে। এটাই স্বাভাবিক। এই ভিন্নতাই সভ্যতার অগ্রযাত্রার মূল চালিকাশক্তি। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, যতবার মতপার্থক্যকে সম্মান করা হয়েছে, ততবার সমাজ হয়েছে সমৃদ্ধ। আবার, যতবার ভিন্নমতকে দমন করতে মানুষ সহিংস হয়েছে, ততবার মানবতা রক্তাক্ত হয়েছে।
আজকের প্রশ্ন—মতপার্থক্যের কারণে কেউ কাউকে হত্যা করতে পারে কি? — উত্তর অত্যন্ত স্পষ্ট: না, কখনোই না। কোনো ধর্ম, কোনো আদর্শ, কোনো মানবিক চেতনা এই নৃশংসতাকে সমর্থন করে না। ইসলাম তো নয়ই।
ইসলাম এক শান্তির ধর্ম। “ইসলাম” শব্দের অর্থই শান্তি ও আত্মসমর্পণ। কুরআনে বলা হয়েছে,
> “যে একজন নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করলো, সে যেন পুরো মানবজাতিকে হত্যা করলো।”
(সূরা আল-মায়িদা, আয়াত ৩২)
এই আয়াত আমাদের শেখায়, মানুষের জীবন কতটা মূল্যবান। মতের ভিন্নতা থাকুক, তা যেন রক্তপাতের কারণ না হয়। বরং আলোচনা, সহনশীলতা, ও করুণা হোক মানবতার পথ।
সত্য ধর্ম কখনো ঘৃণা শেখায় না। যারা ধর্মের নামে মানুষ হত্যা করে, তারা ধর্মের নয়, ঘৃণার দাস।
মানবতা তখনই বেঁচে থাকবে, যখন আমরা শিখবো—ভিন্নমত মানে শত্রুতা নয়, বরং পারস্পরিক শ্রদ্ধার একটি সুযোগ।