
নাটোর প্রতিনিধিঃ নাটোরের অনলাইনে বিভিন্ন প্রজাতির ছাগল বিক্রি করে সফলতার মুখ দেখেছেন খামারিরা। তারা বলছেন ফেসবুকে এবং ইউটিউবে দামসহ ছাগলের ভিডিও পোস্ট করে ক্রেতার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ,মেসেঞ্জার অথবা মুঠোফোনে কথা বলে,ব্যাংক একাউন্ট,নগদ অথবা বিকাশের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করে সফল ক্ষুদ্র খামারি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং তৈরি করেছে কর্মসংস্থান।
আর উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ বলছেন,এই সমস্ত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ ও প্রাণীদের চিকিৎসা সেবাসহ সার্বিকভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী পিন্জুরা বেগম,তাকিব প্রামানিক বলেনন, নিয়মমাফিক সোলা, ডাউল, গমের ভুষিসহ নানা ধরনের খাবার দেওয়া, ছাগল অসুস্থ মনে হলে তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা এবং প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের পরামর্শে সার্বিক দেখাশুনা করে জীবিকা নির্বাহ করছে। ছাগল পালন একটি লাভজনক ব্যবসা তাই বুড়িরভাগসহ গ্রামের সকলেই প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে ছাগল খামারের সঙ্গে সম্পৃক্ত। টাকা রোজগারের জন্য বিদেশে না গিয়ে নিজের দেশেই বিভিন্ন প্রাণীর খামার ঘরে অর্থ উপার্জন করা দরকার বলে মনে করছেন গ্রামবাসীরা।
উপজেলার বুড়িরভাগ এলাকার ক্ষুদ্র খামারি সান্টু ইসলাম জানান,তার খামারের ছাগলের একটি প্যাকেজ ভিডিও পোস্ট করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে,সেখান থেকে অনেক সাড়া পান। ক্ষুদ্র এই ছাগল খামারি সান্টু আরও বলেন,ফেসবুক অথবা ইউটিউব চ্যানেলে ছাগলের ভিডিওসহ বিস্তারিত লিখে পোস্ট করেই ব্যাংক একাউন্ট নগদ অথবা বিকাশের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করে ক্রেতার গন্তব্যে বাস অথবা কাভার্ড ভ্যান যোগে পৌঁছে দেওয়া হয়। রাম ছাগল, বিটল,তোতাপুরী,হরিয়ানসহ নানা প্রজাতির এই সমস্ত ছাগল খামারে কর্মসংস্থান হয়েছে অনেকের।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.পবিত্র কুমার বলেন,করোনাকালীন সময় থেকে অনলাইন প্লাটফর্মে ঝুঁকে ক্ষুদ্র ও বৃহৎ খামারিরা। এই সমস্ত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ ও প্রাণীদের চিকিৎসা সেবাসহ সার্বিকভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে। ডিজিটাল প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বর্তমানে অনলাইনে কেনাবেচা বৃদ্ধি পেয়েছে। চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে সার্বক্ষণ সার্বিকভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে।