
মোঃ শাহজাহান বাশার, স্টাফ রিপোর্টার
গত বছরের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সরকারি চাকরিতে দুর্নীতির তদন্ত শুরু হয়। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত চৌধুরীর নেতৃত্বে এই কার্যক্রম চলছে।
মুক্তিযোদ্ধাদের নামে ভুয়া সনদে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতারা নিজেদের স্বার্থে বাবা, চাচা, ভাইদের মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে সরকারি চাকরির কোটা সুবিধা নিয়েছেন। স্বাধীনতার মর্যাদাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা এসব অপকর্ম আজ সরাসরি তদন্তের আওতায় এসেছে।
চলমান যাচাইয়ের মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে, মুক্তিযোদ্ধা সনদপত্র জমা না দেওয়া, তথ্য গোপন করা, ভুল ঠিকানায় চাকরি গ্রহণের মত গুরুতর অনিয়ম হয়েছে। প্রায় অর্ধেক যাচাই শেষে ৩ থেকে ৪ শতাংশের অনিয়ম ধরা পড়লেও অধিকতর যাচাইয়ে এ হার আরও বাড়তে পারে।
অন্তর্বর্তী সরকার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের আইনের আওতায় আনার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীনতার মর্যাদা রক্ষায় এ ধরনের উদ্যোগকে সাধারণ জনগণ স্বাগত জানিয়েছে।