
মোঃ শাহজাহান বাশার ,স্টাফ রিপোর্টার
মে দিবসে আমরা কেবল অতীত স্মরণ করি, অথচ বর্তমান শ্রমিকের জীবনসংগ্রাম আমাদের চোখে পড়ে না।
বাংলাদেশের ৬ কোটিরও বেশি শ্রমজীবী মানুষের প্রতিদিনের বাস্তবতা হলো— কম মজুরি, ঝুঁকিপূর্ণ কাজ এবং অস্থিতিশীল ভবিষ্যৎ। কোনো দেশ শুধু কারখানা, রাস্তা বা প্রযুক্তির উন্নয়নে এগোয় না— এগোয় মানুষকে উন্নয়নমুখী করে। আর শ্রমিকই সেই মানুষ, যাঁর ঘামে জাতির অগ্রগতির ভিত্তি নির্মিত হয়।
মে দিবসের বড় শিক্ষা কী?
-
শ্রমিককে করুণা নয়, সম্মান দিতে হবে।
-
শ্রমিককে কেবল উৎপাদনের যন্ত্র মনে করলে হবে না; তাকে পূর্ণ মানবিক মর্যাদায় দেখতে হবে।
-
শ্রমিকের সন্তানের জন্য শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করতেই হবে।
-
শ্রমিকের সামাজিক নিরাপত্তা, পেনশন, বয়স্ক ভাতা— এগুলো বাধ্যতামূলক করতে হবে।
-
“শ্রমিকের উন্নয়ন ছাড়া কোনো শিল্প টেকসই হয় না।”
-
“শ্রমিক যদি নিজেকে মূল্যবান মনে করে, তাহলে তার উৎপাদনশীলতাও বেড়ে যায়।”
আজকের দিনে দাঁড়িয়ে, মে দিবস আমাদের শেখায়:
“শ্রমিকের সম্মান মানে দেশের সম্মান।”