
মোঃ শাহজাহান বাশার, স্টাফ রিপোর্টার,
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঝটিকা মিছিল ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা প্রতিরোধে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) টানা সাত দিন বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের ৫৬ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে।
এই অভিযান পরিচালিত হয় ১৯ এপ্রিল ২০২৫ খ্রি. থেকে ২৫ এপ্রিল ২০২৫ খ্রি. পর্যন্ত।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন- কামরাঙ্গীরচর থানার ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ শহিদ, বংশাল থানা ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মো. জিয়া মিয়া, ২৮ নম্বর ওয়ার্ড শেরে বাংলা নগর থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. আব্দুর রব পাটোয়ারী, শেরে বাংলা নগর থানা যুবলীগের সহ-সভাপতি মো. কবির হোসেন ওরফে পানি কবির, ৪৮ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এম কে আজিম, মহানগর উত্তর তুরাগ থানা কৃষক লীগ নেতা মো. দেলোয়ার হোসেন, বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব পরিষদের কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রায়হান আহমেদ, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সহ-সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক কামরুল ইসলাম খান লিটু, শুকতাইল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবেদ আলী শেখসহ আরও অনেকে।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর গাড়ি পোড়ানোর মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মো. আবেদ আলী শেখ এবং ২০১৫ সালে বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার মামলার এজাহারনামীয় আসামি মোহাম্মদ জাকির হোসেন সাগর রয়েছেন। এছাড়াও ঝটিকা মিছিলে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ইমনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
ডিবি জানায়, গ্রেফতারকৃতরা সংঘবদ্ধভাবে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল ও সহিংসতা সৃষ্টি করে জনমনে আতঙ্ক ছড়ানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিভিন্ন থানায় মামলা রুজু রয়েছে।
ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ঝটিকা মিছিলসহ নিষিদ্ধ সংগঠনের অপতৎপরতা রোধে এবং রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখযোগ্য গ্রেফতারকৃতদের নামের তালিকা:
শামীম আহমেদ শহিদ, মো. জিয়া মিয়া, মো. আব্দুর রব পাটোয়ারী, পানি কবির, এম কে আজিম, দেলোয়ার হোসেন, রায়হান আহমেদ, কামরুল ইসলাম খান লিটু, মো. আবেদ আলী শেখ, মমতাজ পারভিন শিমু, মোহাম্মদ জাকির হোসেন সাগর, এম আর বাদল, মনিরুল ইসলাম, আসাদুল্লাহ শিপলু, শাকিল আহমেদ, হাবিবুর রহমান হাবিব, আসলাম চৌধুরী ইমন, মোবাশ্বের রহমান, রুহুল আমীন, কামাল হোসেন শেখ, বাবুল, আজাদ হোসেন, রেজাউল করিম (রানা), শাহজালাল, আব্দুল মতিন মাস্টার, মোস্তাক ফকির (বাঘা), হাজী আলাউদ্দীন, তোফাজ্জল হোসেন তোফায়েল, ফয়সাল হোসেন রকি, হেলাল উদ্দিন মিয়াজী, চাঁন মিয়া, জয়দেব চন্দ্র দাস, শিপন সরকার, আবু হানিফ, নূরে আলম সিদ্দিকী হক, তাওহিদুল ইসলাম, রবিন শিকদার, মো. বাপ্পি, মহিবুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, বাবু আহাম্মেদ, আব্দুল খালেক, মো. কবির হোসেন, দীপম সাহা, কাজী ইসমাইল হোসেন, মো. মুহতাসিন ফুয়াদ (পিয়াল), মো. সাব্বির আহমদ নির্ঝর, কামরুল আহসান নিশাদ, ইব্রাহিম খলিল (কালু), শাকিল হোসেন (জীবন), ওহিদ এম আর রহমান, শামীম শাহরিয়ার, মো. ইলিয়াস কাঞ্চন, মোহাম্মদ হোসেন মাছুম, মো. হাবিবুল হাসান রতন এবং রবিন দেওয়ান।
ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা আরো জানায়, দেশ ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে।