
মোঃ শাহজাহান বাশার,স্টাফ রিপোর্টার, কুমিল্লা
ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় বর্বরোচিত হামলা ও গণহত্যার বিরুদ্ধে উত্তাল হয়ে উঠেছে কুমিল্লার শিক্ষাঙ্গনও। সেই প্রতিবাদের শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার স্বনামধন্য মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ-এ আয়োজিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায়।
রবিবার সকাল ১১টায় কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে কুমিল্লা-মিরপুর সড়ক প্রদক্ষিণ করে শেষ হয় সিএনজি স্ট্যান্ড এলাকায় আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায়। এ সময় কলেজের প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে। তাদের হাতে ছিল ফিলিস্তিনের পক্ষে লেখা ফেস্টুন, ব্যানার ও প্রতিবাদী শ্লোগান।”ফিলিস্তিনে মানবতার উপর ইসরায়েলের বর্বর হামলা চলছে। নারী, শিশু ও নিরপরাধ মানুষদের নির্মমভাবে হত্যা করা হচ্ছে। অথচ জাতিসংঘ নীরব, মুসলিম রাষ্ট্রগুলো নির্লিপ্ত!” — মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের এমন ক্ষোভ প্রকাশ ভেসে ওঠে।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, “আমরা বীরের জাতি। অথচ আজ বিশ্বজুড়ে মুসলমানরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। আমরা এই অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবো। আমরা নীরব দর্শক হতে পারি না।”
উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আলতাফ হোসেন। তিনি বলেন,
“ফিলিস্তিনে আজ যা ঘটছে তা বিশ্ব বিবেককে জাগিয়ে তোলার জন্য যথেষ্ট। আমাদের শিক্ষার্থীরা যেভাবে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছে, তা আমাদের গর্বিত করেছে।” অধ্যক্ষের পাশাপাশি বক্তব্য রাখেন সহকারী অধ্যাপক মানস কুমার রায়, মো. কবির আহমেদ, মো. হুমায়ুন কবির, মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং সিনিয়র প্রভাষক শরীফ মো. রেজা, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. মাহবুবুর রহমান লিটন, মো. জামাল হোসাইন, মো. নেছার আহাম্মেদ, সুমন রানা প্রমুখ।
তাঁরা বলেন, “এই আন্দোলন কোনো রাজনৈতিক প্রভাবিত আয়োজন নয় বরং এটি মানবতার পক্ষে একটি স্বতঃস্ফূর্ত অভিব্যক্তি। আমাদের শিক্ষার্থীরা আজ যে বার্তা দিয়েছে, তা গোটা জাতির প্রতিনিধিত্ব করে।”
বক্তারা আন্তর্জাতিক মহলের প্রতি আহ্বান জানান—ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধে অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে আর নীরব দর্শক হয়ে থাকা চলবে না। বক্তারা বাংলাদেশের সরকারকেও আহ্বান জানান যাতে কূটনৈতিকভাবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে জোরালো অবস্থান গ্রহণ করা হয়।