
ইহুদিরা শুধু ফিলিস্তিনেই থেমে থাকবে না, তাদের লক্ষ্য মুসলিম দেশের বৃহত্তর ভূখণ্ডের দখল,করা বিশেষত মুসলিম বিশ্বের বড় অংশ, যেমন ইরান থেকে মিশরের নীলনদ পর্যন্ত।
ইহুদিদের চিন্তা বা ইহুদি ধর্মীয় ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে, মিশরের নীলনদ পর্যন্ত দখল বিষয়টি বাইবেলের উল্লেখ করা হয়েছে। এবং ইহুদি ধর্মগ্রন্থের কাহিনির সাথে সম্পর্কিত।
এই ধরনের ধারণা বাইবেলের পুরাণের মধ্যে পাওয়া যায়, যেখানে ইসরায়েলের জাতির উত্থান, তাদের মিশরে দাসত্ব এবং পরে তারা কিভাবে ভূমি দখল করেছে, তা বর্ণিত হয়েছে।
বিশেষত, “পবিত্র ভূমি” বা ” promised land” ধারণাটি ইহুদিদের ধর্মীয় বিশ্বাসে গুরুত্বপুর্ণ। কিন্তু বাইবেল বা ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে মিশরের নীল নদ পর্যন্ত তাদের দখল করা।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কিছু কর্মকাণ্ড এবং তাদের সম্প্রসারণবাদী নীতির বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া হিসেবে উঠে এসেছে। অনেক মুসলিম বক্তা ও বিশ্লেষক মনে করেন যে, ইসরায়েলের আসল উদ্দেশ্য শুধু ফিলিস্তিন দখল করা নয়, বরং মুসলিম বিশ্বের প্রভাবশালী অঞ্চলগুলোকেও নিয়ন্ত্রণে আনা।
এই চিন্তা মুসলিম বিশ্বের জন্য একটি সতর্কবার্তা, যা তাদের ঐক্য এবং নিরাপত্তা রক্ষায় আরও সচেতন হতে উদ্বুদ্ধ করে।
ইহুদি-মুসলিম সম্পর্ক এবং ফিলিস্তিনের পরিস্থিতির সাথে সম্পর্কিত। ফিলিস্তিন নিয়ে ইহুদি এবং মুসলিম বিশ্বের মধ্যে ঐতিহাসিক, ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক মতবিরোধ রয়েছে, যা শতাব্দী ধরে চলে আসছে।
ইহুদীরা ফিলিস্তিনে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শুরু করার পর, বিশেষ করে ১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের প্রতিষ্ঠার পর থেকে, সেখানে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক এবং ভূখণ্ডগত দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে।
এর প্রভাব মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন দেশগুলোর উপরও পড়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা, ভূমি দখল এবং রাজনৈতিক অধিকার নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা এবং সংঘর্ষ রয়েছে, যা এখনো আন্তর্জাতিক স্তরে আলোচিত হচ্ছে।
যদিও কিছু পক্ষের মতে, “ইহুদীরা থেমে থাকবে না” বা “ফিলিস্তিন দখল করবে” এমন সতর্কবার্তা ইসরায়েলের সম্প্রসারণবাদী নীতি বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যগুলির প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করতে পারে, তবে এটি যে একটি অত্যন্ত জটিল এবং বহু-স্তরের বিষয়, তা মনে রাখা জরুরি। বিভিন্ন দেশের সরকারের এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা, শান্তি প্রক্রিয়া, এবং আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতির উন্নতি বা সমাধান সাধনের চেষ্টা করা উচিৎ ।
এছাড়া, শান্তি এবং স্থিতিশীলতার জন্য উভয় পক্ষের মধ্যে সম্মান এবং সমঝোতা গুরুত্বপূর্ণ। তাই, এটি শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক বা ভূ-রাজনৈতিক সমস্যা নয়, বরং একটি মানবিক ও ধর্মীয় প্রশ্নও, যা বিশ্বব্যাপী নানা মতামত এবং প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে।