মোঃ শাহজাহান বাশার, স্টাফ রিপোর্টার

মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী, যিনি নিজেকে শুধুমাত্র একটি নামের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে, একটি মহান কাজের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছেন, তাঁর অবদান অস্বীকার করা সম্ভব নয়। তিনি তাঁর শিক্ষা, সমাজসেবা এবং ধর্মীয় কাজে অবিরাম নিঃস্বার্থভাবে কাজ করেছেন, যা সমাজের প্রতিটি স্তরে গৌরব বৃদ্ধি করেছে। তাঁর এহেন অবদানই তাকে একজন প্রকৃত গুণীজন এবং সমাজের উন্নতির পথপ্রদর্শক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

শিক্ষার জন্য মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী
শিক্ষা কোনো দেশের উন্নতির মূল ভিত্তি। আর মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী এই মর্মে বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি ব্রাহ্মণপাড়ায় একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, আবদুল মতিন খসরু মহিলা ডিগ্রি কলেজ, আব্দুর রাজ্জাক খান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়। এই প্রতিষ্ঠানগুলো এলাকার শিক্ষার্থীদের জন্য এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন করেছে। তিনি শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠানের জন্য জমি এবং অর্থ দান করেননি, বরং প্রতিষ্ঠানগুলোর মানোন্নয়নে নিজেও অংশগ্রহণ করেছেন।

সমাজসেবক হিসেবে মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী
শুধুমাত্র শিক্ষা নয়, তিনি সমাজের কল্যাণের জন্যও নিঃস্বার্থভাবে কাজ করেছেন। তিনি যখন দেখেছিলেন ব্রাহ্মণপাড়ায় ডায়াবেটিক হাসপাতালের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, তখন তিনি এক মুহূর্তও চিন্তা করেননি। তিনি তার কোটি কোটি টাকার জমি দান করেছেন, যার ফলে প্রতিষ্ঠিত হয় ব্রাহ্মণপাড়া ডায়াবেটিক হাসপাতাল, যেখানে এখন হাজার হাজার রোগী নামমাত্র মূল্যে চিকিৎসা পাচ্ছেন।

তিনি কলেজ পাড়া মসজিদ ও মাদ্রাসা কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করার জন্য কোটি টাকার জমি দান করেছেন, যা ধর্মীয় ও শিক্ষা ক্ষেত্রেও সমাজের কল্যাণে সহায়ক হয়ে উঠেছে।