
উত্তরাঞ্চলীয় গাজায় নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে শক্তি বাড়িয়ে চলছে ইসরায়েলি সেনারা। শুক্রবার (০৪ এপ্রিল) দেশটির সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, এরপরই অংশ হিসেবে তারা দক্ষিণ গাজার বিশাল অংশ দখলে নেয়ার পরিকল্পনা করছে। খবর রয়টার্স
উত্তর গাজা সিটির পূর্ব উপশহর শেজাইয়াতে অপারেশন পরিচালনা করা ইসরায়েলি সেনা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ওই অঞ্চল থেকে তারা ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে দিচ্ছে এবং নিরাপত্তা অঞ্চল গড়ে তোলার লক্ষে সেনা অভিযান কার্যক্রম সম্প্রসারণ করেছে।
আরও পড়ুন: হাসিনার সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকাকালীন অসম্মানজনক আচরণ দেখেছি: ড. ইউনূসকে নরেন্দ্র মোদি
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ইসরায়েলি একটি ট্যাংক শেজাইয়াতে অবস্থিত আল মুনতার পাহাড়ে অবস্থান নিয়েছে। যেখান থেকে গাজা শহর এবং এর আশপাশের অঞ্চল দেখা যাচ্ছে। তবে গাজার পূর্বাঞ্চলীয় এলাকা সেইলিংয়ে অনবরত হামলা চলছে। স্থানীয় একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা একটি টেক্সট বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন।
ইসরায়েল বাহিনী যে এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে, সেখান থেকে একদিন আগেই শত শত বাসিন্দা পালিয়ে গেছে। তারা ভ্যান এবং গাধার গাড়িতে করে মালপত্র নিয়ে পালিয়ে যায়। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরায়েল বাহিনী যেভাবে ফিলিস্তিনিদের সরে যাওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে তাতে গাজা উপত্যকার এক তৃতীয়াংশ জায়গা ইসরায়েলি সেনারা দখলে নিবে।
গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় আবারও ভয়াবহ হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। দুই মাসের যুদ্ধবিরতিতে শত শত কারাবন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তির বিনিময়ে ৩৮ জন জিম্মিকে ফিরিয়ে আনে ইসরায়েল। পরবর্তীতে মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় গাজা যুদ্ধবিরতি দ্বিতীয় ধাপ শুরু হওয়ার পর তার আলোর মুখ না দেখায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। মধ্যস্থকারীদের সঙ্গে সম্পর্ক থাকা একজন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছে, বর্তমানে যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো আলোচনা চলছে না।
গত দুই সপ্তাহের বেশি সময়ে গাজা থেকে ২ লাখ ৮০ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা ওসিএইচএ জানিয়েছে, গত ১৮ মাস ধরে ফিলিস্তিনিরা বারবার বাস্তুচ্যুত হচ্ছে।