
অনলাইন ডেস্ক
ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ।
মুখোশপরা লোকজন তাকে হাতকড়া পরিয়ে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন বলে একটি ভিডিওতে দেখা গেছে। তবে তাকে গ্রেফতারের ক্ষেত্রে কোনও ধরনের ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। এ ঘটনাকে ‘অপহরণের’ সঙ্গে তুলনা করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
বুধবার তার আইনজীবী মাহসা খানবাবি এমন তথ্য জানিয়েছেন। বোস্টন ফেডারেল আদালতে এ বিষয়ে একটি পিটিশন দাখিল করা হয়েছে।
রুমিয়াসা অজটুর্ক নামের ৩০ বছর বয়সী ওই নারী শিক্ষার্থী তুরস্কের নাগরিক। মঙ্গলবার রাতে ম্যাসাচুসেটসের সামারভিলে নিজের বাসা থেকে বের হলে তাকে থামানো হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, মুখ ঢেকে রাখা সাত ব্যক্তি তাকে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন। সে সময় তিনি চিৎকার করছিলেন।
ভিডিওতে গ্রুপটির লোকজনকে বলতে শোনা গেছে, “আমরা পুলিশ।”
তাদের একজনকে প্রশ্ন করতে দেখা গেছে, কেন আপনি মুখ আড়াল করেছেন? মাহসা খানবাবি বলেন, বন্ধুদের সাথে ইফতার করতে যাচ্ছিলেন রুমিয়াসা অজটুর্ক।
তার আইনজীবী বলেন, তার অবস্থান সম্পর্কে আমরা অবগত ছিলাম না। তার সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারিনি। এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনও মামলা দায়ের করা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রে লেখাপড়ার করার জন্য তাকে ভিসা দেওয়া হয়েছিল।
তার এই আটকের ঘটনায় হতবাক হওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা। সামারভিলের আবাসিক এলাকা থেকে মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।
মাইকেল ম্যাথিস (৩২) নামের এক সফটওয়্যার প্রকৌশলী বলেন, এটা দেখতে অপহরণের মতো মনে হয়েছে। তারা তার কাছাকাছি এসে তাকে ধরে ফেলে। তাদের মুখঢাকা ছিল। তাদের গাড়িতেও কোনও নম্বর প্লেট ছিল না বলে উল্লেখ করেন তিনি। তার নজরদারি ক্যামেরায় এই ঘটনার ভিডিও ধারণ করা হয়েছে।
টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি সুনীল কুমার বলেন, একজন বিদেশি শিক্ষার্থীকে আটকের কথা আমরা জানতে পেরেছি। তার ভিসা বাতিল করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় আগে থেকে কিছু জানতো না। আমাদের এ বিষয়ে কোনও তথ্যও দেওয়া হয়নি।
তিনি শিক্ষার্থীর নাম না বললেও বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র প্যাট্রিকস কলিনস বলেন, গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসের পিএইচডি গবেষক ছিলেন রুমিয়াসা অজটুর্ক।
তার এই গ্রেফতারের ঘটনা সাংবিধানিক অধিকার ও বাকস্বাধীনতার ভয়াবহ লঙ্ঘন হিসেবে আখ্যায়িত করেন প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্র্যাটিক দলীয় সদস্য আয়ান্না প্রিসলি। তাকে এখনই মুক্তি দিতে হবে বলেও দাবি করেন তিনি। সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স