
মোঃ শাহজাহান বাশার ,স্টাফ রিপোর্টার
২৭ মার্চ কুড়াখাল পূর্ব পাড়া মুন্সী জামে মসজিদ ইফতার ও দোয়ার আয়োজন করা হয়। মুন্সী বাড়ি একতাবদ্ধ হয়ে এই আয়োজন করেন। রোজা শেষ পর্যায় ও লাইলাতুলকদর উপলক্ষে ইফতার ও দোয়ার মাধ্যমে আত্মা শান্তি এবং পরকালের আশায় ইমাম সাহেব গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন। ইমাম সাহেব বলেন এই মাস আমল করার মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস যত বেশি আমল করবেন ততই বেশি সওয়া হবে।আরও বলেন পিছনের সমস্ত গুনাহ আপনার মাফ করে দিবেন আল্লাহ তায়ালা। তিনি আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেন,
কদরের রাতে যে দোয়ার সর্বোচ্চ গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে, সেটি হলো—ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧَّﻚَ ﻋَﻔُﻮٌّ ﺗُﺤِﺐُّ ﺍﻟْﻌَﻔْﻮَ ﻓَﺎﻋْﻒُ ﻋَﻨِّﻲ উচ্চারণ: ‘আল্লা-হুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ফু আন্নী’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল। ক্ষমা করাটা আপনার পছন্দ। অতএব আমাকে ক্ষমা করে দিন।
ইসলামের মধ্যে “পুনরুত্থান” বাংলা শব্দের অর্থ অনুযায়ী পুনরুত্থানে বিশ্বাস যেটি মুসলিমরা বলে আল-কাদা ওয়া আল-কদর (القضاء والقدر)। বাক্যটির অর্থ হচ্ছে “ঐশ্বরিক নির্দেশ এবং পুনরুরুত্থান”। আল-কদর শব্দের উৎপত্তিগত অর্থ হচ্ছে “পরিমাপ করা”।
লাইলাতুল কদর এর করণীয় কি?
* সবে কদর তালাশ করা
* কুরআন তেলাওয়াত করা
* গোনাহ থেকে মাফ চাওয়া
* কল্যাণের দোয়া করা
* জ্ঞানার্জন করা
* কাযা নামাজ পড়া
* অতিরিক্ত না ঘুমানো
* অধিক খাবার গ্রহণ না করা
কদর রাতের ফজিলত অনেক বেশি হওয়ার কারণ কী?
কারণ এ রাতে রয়েছে যেমন বরকত তেমনি কল্যাণ ও তাৎপর্য। বরকতের প্রধান কারণ হল এ রাতে আল-কোরান নাজিল হয়েছে। এ রাতে প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়-সিদ্ধান্ত লওহে মাহফুজ থেকে ফেরেশতাদের হাতে অর্পণ করা হয় বাস্তবায়নের জন্য। এ রাতের অপর একটি বৈশিষ্ট্য হলো আল্লাহ তাআলা এ রাত সম্পর্কে একটি পূর্ণ সূরা অবতীর্ণ করেছেন। হে আল্লাহ আমাদের সবাইকে বুঝবার তৌফিক দেন আমিন আমিন।