
নিজস্ব প্রতিবেদক এএনবিটোয়েন্টিফোরডটনেট
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল। এখন এসব প্রতিষ্ঠান মেরামত করতে হবে। এ জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘কিভাবে জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে হবে, সে বিষয়ে আমাদের আলোচনা করতে হবে।’
গতকাল রবিবার বিকেলে এক ইফতার মাহফিলে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
রাজধানীর পুরানা পল্টনের হোটেল ফার্সে জাতীয়তাবাদী সমমনা দলের উদ্যোগে এই ইফতার মাহফিল হয়।
তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপি অন্যান্য রাজনৈতিক দল নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সংগ্রামে ছিল। আমরা সবাই বিশ্বাস করি, যেসব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল, সেই প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদেরই মেরামত করতে হবে। এই ধ্বংসপ্রাপ্ত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামত করতেই ৩১ দফা দেওয়া হয়েছিল।
রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আসুন, জনগণের দাবি নিয়ে আমরা আলোচনা শুরু করি। জনগণের যে প্রত্যাশা ও চাওয়া, তাদের যে মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে, সেগুলো আমরা কিভাবে বাস্তবায়ন করতে পারি, জন-আকাঙ্ক্ষাগুলো নিয়ে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনা করতে হবে। জনগণের বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের অবশ্যই চিন্তা-ভাবনা করা উচিত। কারণ জনগণই আমাদের রাজনীতির বড় পুঁজি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক দলগুলো পলাতক স্বৈরাচার হটাতে রাজপথে ছিলাম। একসঙ্গে আন্দোলন-সংগ্রামে ছিলাম। মানুষের রাজনৈতিক অধিকার, বাক্স্বাধীনতা, অর্থনৈতিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আমরা সংগ্রামে ছিলাম। সেই দলগুলো একসঙ্গে বসে আলোচনা করে আমরা দুই-আড়াই বছর আগে ৩১ দফা জাতির সামনে উপস্থাপন করেছিলাম।’
৩১ দফা দেওয়ার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, পলাতক যে স্বৈরাচার দেশের সব প্রতিষ্ঠান, যেমন—শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সিভিল প্রশাসন, পুলিশ, বিদ্যুৎ খাতসহ সব ধ্বংস করে দিয়েছিল।
সে জন্য রাষ্ট্র মেরামতে এই ৩১ দফা দেওয়া হয়েছিল। রাষ্ট্রের কাঠামো মেরামত করতে না পারলে দেশের মানুষের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করা যাবে না।
তারেক রহমান বলেন, ‘আজকে অনেক ব্যক্তি সংস্কার নিয়ে অনেক কথা বলছেন। কিন্তু বাংলাদেশে সংস্কার প্রয়োজন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রকাঠামোর যে সংস্কার প্রয়োজন, রাষ্ট্র মেরামতের যে সংস্কার প্রয়োজন, এটা সবচেয়ে আগে আমরাই বলেছিলাম।
জাতীয়তাবাদী সমমনা দলের সমন্বয়ক এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে এবং মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা ও এস এম সাহাদাত হোসেনের সঞ্চালনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক উপদেষ্টা মাহাদী আমিন, জামায়াতে ইসলামীর মো. কামাল হোসেন, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান, সাম্যবাদী দলের সৈয়দ নুরুল ইসলাম, জেএসডির শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, জাগপার খন্দকার লুত্ফুর রহমান, গণ অধিকারের ফারুক হাসান, গণদলের এ টি এম গোলাম মওলা চৌধুরী, এনডিপির আবু তাহের, বাংলাদেশ ন্যাপের এম এন শাওন সাদেকী, মুসলিম লীগের নাসিম খান, ডিএলের খোকন চন্দ্র দাশ প্রমুখ এতে বত্তৃদ্ধতা করেন।