
নিজস্ব প্রতিবেদক,এএনবিটোয়েন্টিফোর ডট নেট
সম্প্রতি স্বাক্ষরিত শান্তি চুক্তি একতরফাভাবে লঙ্ঘন করে মানবতার শত্রু ইসরাইল পবিত্র মাহে রমজানে সেহরীর সময় গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলা চালিয়ে একদিনে সহস্রাধিক বেসামরিক মুসলিম নারী, শিশু ও বৃদ্ধকে হত্যা করেছে। এর পরেও বিশ্ব মুসলিম নেতৃবৃন্দের দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ না দেখা অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে, যদি বর্তমান মুসলিম বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলো—ইরান, তুরস্ক, কাতার, সৌদি আরব, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এবং বাংলাদেশ একত্রে প্রতিবাদ জানায়, তাহলে শুধু ইসরাইল নয়, তাদের অন্যতম সমর্থক আমেরিকার কাছেও কম্পন সৃষ্টি হবে। তাই, ইসরাইলের আগ্রাসন বন্ধ করতে বিশ্ব মুসলিমের ঐক্য ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
বাংলাদেশ জমইয়াত হিযবুল্লাহর আমীর ও ছারছীনা দরবার শরীফের গদ্দীনসিন পীর আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুফতি শাহ্ আবু নছর নেছারুদ্দীন আহমাদ হুসাইন বলেন, “পবিত্র মাহে রমজানের ১৭ তারিখে বদরের যুদ্ধে মুসলমানরা বিজয়ী হয়েছিল। এই বিজয় সামরিক শক্তি নয়, বরং ঈমানের শক্তি ও দৃঢ় বিশ্বাসের কারণেই অর্জিত হয়েছিল। বদর আমাদের প্রেরণা, বদর আমাদের চেতনা, বদর আমাদের অনুভূতি। আসলে, তারা বদর দিবসকেই এই ন্যাক্কারজনক হামলার জন্য বেছে নিয়েছে। এটি বিশ্বের মোড়ল দেশ আমেরিকার পৃষ্ঠপোষকতায় সংঘটিত।”
তিনি আরও বলেন, “প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তুর্কি সালতানাতের পতনের পর থেকে আজ পর্যন্ত শত বছর পেরিয়ে গেলেও এই যুদ্ধ শেষ হয়নি। তারা ইসরাইলকে অবৈধভাবে মুসলিমদের ওপর চাপিয়ে দিয়ে অঘোষিত ক্রুসেড চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব। এখন আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে? কখন আসবে সেই দিন, যখন নতুন কোনো খলীফা—ওমর বা সালাহউদ্দীনের মতো—বায়তুল মুকাদ্দাস মুক্ত করবে এবং ফিলিস্তিনীরা তাদের পূর্বপুরুষদের ভূখণ্ডে ফিরে যেতে পারবে?”
এই বক্তব্যে ছারছীনার পীর সাহেব বিশ্ব মুসলিমের ঐক্যের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন, যাতে ইসরাইলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া যায়।
এএনবিটোয়েন্টিফোর ডট নেট /মাহামুদুল