
দূরে থেকে লাভ কী হয়? বলো..
বড়জোর দুঃখই তো পাই, এর চাইতে বেশি কিছু? অথচ কাছাকাছি থাকলেই মূহুর্ত হতো অমায়িক, আনন্দঘন মুহূর্তে চাইলেই তোমায় দুচোখ ভরে দেখা যেত, ছোঁয়া যেত, যা খুশি বলা যেত।
অভিমানে নিশ্চুপ নীরবতায় হাঁপিয়ে উঠে কী লাভ? বলো..
সেই তো উন্মুখ হয়ে থাকি তোমায় কাছে পেতে। আদরে আদরে অভিমান ভেঙ্গে দিলেই কিন্তু যন্ত্রণা হয় না। তুমি কাছে এসে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরলেই আমি উন্মাদ হয়ে যাই৷ এসব বিচ্ছিরি অভিমান, যন্ত্রণা তুমি কাছে থাকলেই দূর হয়।
ভালোবেসে দূরে থেকে কি লাভ? বলো তো…
সময় কি থেমে থাকে? বয়স আর সময় দেদারসে চলে যায়! তোমাকে যখন কাছে পেতে ইচ্ছে করে, ঠিক তখনই পেলে কী মন্দ হয়? ভালোবাসা স্পর্শ চায়, নরম তুলতুলে স্পর্শ। মন আর শরীর টের না পেলে, ভালোবেসে কি লাভ?
জীবন কি খুব আহামরি বড়ো?
ছোট্ট এ জীবনে শেষ নিঃশ্বাস অবধি তুমি কাছে থাকলে–পাশে থাকলে কী এমন ক্ষতি হয়? জানি সবসময়, সবকিছু সম্ভব হয় না। তবে ভালোবেসে সবকিছুই সম্ভব করে নেয়াটাই তো বড় চ্যালেঞ্জ।
এই যে এত হাহাকার, দুঃখের দিনে একা থাকার যন্ত্রণা, কথা জমে বুকের ভেতর ব্যথার পাহাড়, সবকিছুই তো তুমি কাছে থাকলেই দূর হতো। এক আকাশ সমান ভালোবেসে কাছে না পাওয়ার যন্ত্রণা মানুষকে ভীষণ ভোগায়, তার চাইতে বেশি ভোগায় মানুষটাকে খুব কাছে থেকে দুচোখ ভরে দেখতে না পারার অসুখে!
দূরে থেকে ভালোবাসাকে জয় করেছে কে, কবে?
ভালোবাসলে কাছে আসতে হয়, ভীষণ রকম কান্না পেলে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরতে হয়। নরম, তুলতুলে স্পর্শ দিয়ে সব ব্যথা নিরাময় করতে হয়। তুমি তো দূরে থাকো, আর আমি আজন্ম এই ব্যামো নিয়ে দুরারোগ্য ব্যাধি প্রতিরোধ করার বৃথা চেষ্টা করে যাই! তোমার আমার এত দূরত্বের কারণে পৃথিবীর কোনো পথ্যই অসুখ সারাতে পারে না!
ফাহমিদা (পিকু)