নারীর প্রতি সহিংসতা: ফাঁসি চাই, রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক ঐক্যের ডাক”:মোঃ শাহজাহান বাশার

নিজস্ব প্রতিবেদক,এএনবি২৪ ডট নেট

বাংলাদেশে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা একটি রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সাম্প্রতিক সময়ে নারী নির্যাতন, সহিংসতা এবং বৈষম্যের ঘটনা ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। নারীর নিরাপত্তার জন্য কেবল আইন প্রয়োগই যথেষ্ট নয়; বরং সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন, শিক্ষা ও প্রযুক্তির কার্যকর ব্যবহার এবং রাষ্ট্রীয় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজন।

নারীর নিরাপত্তার বর্তমান চিত্র

সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশে নারী নির্যাতনের ঘটনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে ঘরোয়া সহিংসতা, যৌন হয়রানি, কর্মক্ষেত্রে বৈষম্য ও ধর্ষণের মতো অপরাধ উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, এসব অপরাধ প্রতিরোধে প্রচলিত আইন থাকলেও তার বাস্তবায়ন দুর্বল।

আইনের শাসন ও কঠোর শাস্তির প্রয়োজন

নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আরও সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞদের মতে, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম আরও জোরদার করা উচিত, যাতে অপরাধীরা আইনের ফাঁক গলে বেরিয়ে যেতে না পারে। ধর্ষণ ও নারীর প্রতি সহিংসতার মতো অপরাধের জন্য ফাঁসির দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে, যা রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে ব্যাপক আলোচনার বিষয়।

শিক্ষা ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন

নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। শিক্ষা ব্যবস্থায় নারী অধিকার, নৈতিকতা ও লিঙ্গ সমতার বিষয়ে আরও জোর দেওয়া প্রয়োজন। পরিবার ও বিদ্যালয়ে ছেলে-মেয়েদের নৈতিক শিক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি সমাজের প্রতিটি স্তরে নারীর সম্মান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে হবে।

প্রযুক্তির ব্যবহার ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা

বর্তমান যুগে প্রযুক্তি নারীর নিরাপত্তায় বড় ভূমিকা রাখতে পারে। নারীদের জন্য বিশেষ হেল্পলাইন, মোবাইল অ্যাপ এবং সিসিটিভি মনিটরিং ব্যবস্থা আরও উন্নত করা উচিত। দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাতে পুলিশের বিশেষ ইউনিট চালু করা যেতে পারে, যা বিপদগ্রস্ত নারীদের তাৎক্ষণিক সহায়তা প্রদান করবে।

২০২৫ সালের লক্ষ্য: নিরাপদ বাংলাদেশ

২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নারীদের জন্য আরও নিরাপদ করতে হলে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক সম্মিলিত প্রচেষ্টার বিকল্প নেই। কঠোর আইন, শিক্ষা, প্রযুক্তির ব্যবহার এবং সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের মাধ্যমে নারীরা একটি নিরাপদ সমাজ পেতে পারে।

নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এটি কেবল নারীদের বিষয় নয়, বরং পুরো সমাজের উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য।