
মোঃ শাহজাহান বাশার, স্টাফ রিপোর্টারঃ
কক্সবাজার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (এডি) এ.কে.এম দিদারুল আলমের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, নারী কেলেঙ্কারি এবং নিরীহ মানুষকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে সাংবাদিক শাহীন মাহমুদ রাসেলকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠলেও, এটি তার বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ নয়। ২০১৩ সাল থেকে একই পদে থাকা দিদারুল আলম বিভিন্ন সময় বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য আলোচনায় এসেছেন।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি অর্থের বিনিময়ে নির্দোষ ব্যক্তিদের মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেন, সংবাদকর্মীদের হয়রানি করেন এবং ব্যক্তিগত স্বার্থে তার ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। ২০২৩ সালে তাকে চাঁদপুর থেকে জামালপুর বদলি করা হলেও তিনি সেখানে একই রকম কার্যকলাপ চালিয়ে যান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) মমতাজ তানভীর বলেন, “পাবলিক প্লেসে স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে কাউকে অভিযুক্ত করা যায় না। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি।”
এদিকে সাংবাদিক মহল ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো এডি দিদারুলের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। তারা বলেন, “অবিলম্বে এই কর্মকর্তার কার্যকলাপ তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারেন।”