
মোঃ শাহজাহান বাশার,স্টাফ রিপোর্টার
ঢাকা শহরের পরিবহন খাতে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা চাঁদাবাজির সিস্টেম একটি সময়ে বেশ পরিচিত ছিল। এই সিস্টেমটি মূলত এক শাসক দলের সময়ে চালু হয়েছিল, যেখানে কাগজের টোকেন ব্যবহার করে চাঁদাবাজি করা হতো। তবে, শাসনামলের পতনের পর এই সিস্টেমটি আরও বিপজ্জনক হয়ে যায় এবং নতুন রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে এটি একেবারে অস্বচ্ছ হয়ে পড়ে।
গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে বলা হয়েছে, পূর্বের শাসক দলের শাসনামলে এই চাঁদাবাজির সিস্টেম কিছুটা নিয়ন্ত্রিত ছিল এবং টোকেন ব্যবস্থার মাধ্যমে এটা কিছুটা সচ্ছ ছিল। কিন্তু বর্তমানে, অন্য একটি প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতারা এই সিস্টেমটি পুরোপুরি দখল করে নিয়েছে এবং নিজেদের মতো করে এর কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। তাদের মধ্যে, যারা রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী এবং স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা, তারা এই সিস্টেমের মাধ্যমে কৌশলে অধিকাংশ টাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছেন।
এ বিষয়ে আরও জানানো হয়েছে যে, এসব চাঁদাবাজির টাকা বিভিন্নভাবে রাজনৈতিক দলের তহবিল হিসেবে চলে যাচ্ছে এবং স্থানীয় নেতাদের ক্ষমতার উন্নতি ঘটাচ্ছে। বিশেষ করে, যেসব নেতা পরিবহন খাতে বিভিন্ন সংগঠনের সাথে যুক্ত, তারা পরিবহন শ্রমিকদের এবং মালিকদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে অর্থ আদায় করে চলেছেন।
অনিয়ম এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ:
প্রতিবেদনটি আরো জানিয়েছে, স্থানীয় প্রশাসনও এই চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারছে না। প্রশাসনিক কর্মকর্তারা চাচ্ছেন, তারা এই সমস্যার সমাধান করবেন, কিন্তু স্থানীয় রাজনৈতিক চাপের কারণে তারা অনেক সময় সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারছেন না। এর ফলে, পরিবহন খাতে দুর্নীতি এবং অনিয়ম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগও বেড়ে চলেছে।
একজন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, পরিবহন খাতের উন্নতির জন্য এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এই অনিয়ম ও দুর্নীতি রোধে একাধিক প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে, তবে সেটা বাস্তবায়ন করতে হলে রাজনৈতিক নেতা এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের একসাথে কাজ করতে হবে।
নির্বাহী কর্মকর্তারা এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়েছেন এবং তারা একটি জাতীয় উদ্যোগ গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, যার মাধ্যমে পরিবহন খাতের সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য নতুন আইন এবং নিয়ম প্রণয়ন করা হবে। তবে, এই পদক্ষেপের সফলতা নির্ভর করবে কতটা রাজনৈতিক অঙ্গীকার এবং প্রশাসনিক সহযোগিতা পাওয়া যায় তার ওপর।