
মোঃ শাহজাহান বাশার, স্টাফ রিপোর্টার
অভিযানের এক মাসের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১১ হাজারের বেশি মানুষ গ্রেফতার হয়েছে, আর নতুন-পুরাতন মামলায় আটক হয়েছেন অন্তত ২০ হাজার। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে বড় অংশই গণঅভ্যুত্থানের পর ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী কেন?
সরকার বলছে, অভিযানে শুধুমাত্র সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ও আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির সদস্য সচিব আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, “অন্যায়ভাবে কাউকে ধরা হয়নি। যার নামে মামলা আছে, তাকে তো অবশ্যই ধরতে হবে।”
তিনি আরও দাবি করেন, “আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র করছে, ডেভিল অ্যাক্টিভিজম চালাচ্ছে। এ কারণেই ‘ডেভিল হান্ট’ প্রয়োজন হয়েছিল।”
এদিকে, অভিযানের শুরুর কারণ হিসেবে গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলার প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হচ্ছে। ওই হামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা আক্রান্ত হন, যার ফলে একজনের মৃত্যু ঘটে। এরপর আন্দোলনের নেতাদের দাবির মুখে ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু হয়।
তবে অভিযানের বর্তমান গতিপ্রকৃতি দেখে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি শুধুমাত্র আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য নাকি রাজনৈতিক প্রতিশোধের অংশ—সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।