অর্থপাচারের অভিযোগ থেকে খালাস পেলেন তারেক রহমান ও গিয়াসউদ্দিন আল মামুন



নিজস্ব প্রতিবেদন

আজ, ৬ মার্চ, বৃহস্পতিবার, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বেঞ্চ, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে অর্থপাচারের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে খালাস দেওয়ার রায় ঘোষণা করেছে।

এ মামলায় অর্থপাচারের অভিযোগে মানি লন্ডারিং আইনে করা মামলায় খালাস পেয়েছেন তারা। গত ৪ মার্চ আপিল শুনানির পর ৬ মার্চ রায়ের দিন নির্ধারণ করা হয়।

২০০৯ সালে ক্যান্টনমেন্ট থানায় দায়ের হওয়া এই মামলায়, তারেক ও মামুনের বিরুদ্ধে ২০ কোটি টাকা ঘুষ হিসেবে আদায়ের পর বিদেশে পাচারের অভিযোগ আনা হয়। ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয় এবং মামুনকে ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ৪০ কোটি টাকার জরিমানা দেওয়া হয়।

২০১৩ সালের ডিসেম্বরে, তারেক রহমানের খালাসের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে হাইকোর্ট তারেকের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়। পরবর্তীতে, ২০১৬ সালে, তারেক রহমানের ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং ২০ কোটি টাকা জরিমানা বহাল রাখে হাইকোর্ট। মামুনের জরিমানা ৪০ কোটি থেকে কমিয়ে ২০ কোটি করা হয়।

শুনানি শেষে, সর্বোচ্চ আদালত গত বছরের ১০ ডিসেম্বর তারেক রহমান ও গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের সাজা এবং জরিমানা স্থগিত করে আপিলের অনুমতি দেয়।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২০০৮ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে আছেন। তার বিরুদ্ধে বহু মামলা ছিল, যার মধ্যে প্রায় ৪০টি মামলায় তিনি খালাস পেয়েছেন।