
মোঃ শাহজাহান বাশার, স্টাফ রিপোর্টার
মাইজভাণ্ডার শরীফের সাজ্জাদানশীন ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) চেয়ারম্যান, হযরত শাহসুফি ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী বলেছেন, আমাদের প্রিয় নবিজী (দ.) বর্বরতার অন্ধকার যুগে পৃথিবীতে শুভাগমন করেছেন মানবতার আলোয় মানুষকে আলোকিত করতে। যে সময় মানুষে মানুষে যুদ্ধ-হানাহানি, দ্বন্দ্ব-সংঘাত, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লেগেই থাকতো, কণ্যা সন্তানকে জীবিত দাফন করা হত, নারী জাতির কোন মর্যাদাই ছিল না। এমন এক ক্রান্তিলগ্নে আমাদের প্রিয় নবিজী (দ) মানুষকে শান্তি, সম্প্রীতি ও মানবতার পথে এনেছেন অজস্র ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে। ‘মদীনা সনদ’ এর আলোকে তিনি নারী-পুরুষ, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণীর মানুষের অধিকার ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করে সমগ্র বিশ্বকে শান্তির নীড় হিসেবে গড়ে তোলার আদর্শ রেখে গেছেন। শুধুমাত্র নামায, রোজার মাঝেই ইসলাম সীমাবদ্ধ নয় ; ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা যার প্রতিটি স্তরে সাম্য ও মানবপ্রেমের বার্তা নিহিত। তিনি আরো বলেন, মহানবী হযরত মুহাম্মদ মুস্তাফা (দ)’র অনুসারী হিসেবে মানবতার সেবায় অবদান রাখা প্রত্যেকের দায়িত্ব। প্রতিবেশী, নিকটাত্মীয় ও অসহায়দের সহায়তায়, দেশের দূর্যোগ-সংকট ও প্রয়োজনে আমাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। বিএসপি চেয়ারম্যান বলেন, সততা, ন্যায়পরায়ণতা ও তাসাউফের শিক্ষা আমাদের অন্তরে ধারণ করতে হবে। রাজনীতিতে সুনাগরিকদের অংশগ্রহণ বাড়াতে পারলে দেশে সুশাসন ও মানবাধিকার যথাযথভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলার বড় গোবিন্দপুর ভূইয়া বাড়ি মাঠে ১৯ তম বার্ষিক ওরশ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সাবেক পুলিশ সুপার মোঃ খলিলুর রহমান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও খলিফা মোহাম্মদ আখতার ভূইয়া মাইজভাণ্ডারীর সার্বিক তত্বাবধানে মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন, আনজুমানে রাহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া কেন্দ্রীয় পরিষদের মহাসচিব খলিফা আলহাজ্ব শাহ্ মোহাম্মদ আলমগীর খাঁন মাইজভাণ্ডারী। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, হাফেজ ক্বারী মাওলানা মুহাম্মদ কেরামত আলী, মাওলানা আব্দুল হালিম মাইজভাণ্ডারী, মাওলানা ইমরান হোসাইন মাইজভাণ্ডারী প্রমুখ। এসময় বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরাম, স্থানীয় খলিফাবৃন্দ, আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া, মইনীয়া যুব ফোরামের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মিলাদ কিয়াম শেষে মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ, দেশ ও বিশ্ববাসীর শান্তি-সমৃদ্ধি কামনায় আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করেন শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী মাইজভান্ডারী।