
রিপোর্ট কালাম
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট রেললাইনে ট্রেনের ধাক্কায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক ও অন্তঃসত্তা নারীসহ ৯ জন যাত্রী মারা যান।
ওই ঘটনার দুই মাস অতিবাহিত হলেও রেল ক্রসিংয়ে নিরাপত্তা গেট নির্মাণ করা হয়নি। এতে বুড়িচং-কালিকাপুর থানা সড়কের কয়েক হাজার যাত্রী ঝুঁকিতে রয়েছে।
গত বছরের ২৬ নভেম্বর ট্রেন দুর্ঘটনার পর উপজেলা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, উপজেলা প্রশাসন এবং রেলওয়ে কর্তৃপক্ষসহ ৬ জনের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল।
২৮ নভেম্বর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত কমিটি। তদন্ত শেষে তারা সিদ্ধান্ত নেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ রেলক্রসিংয়ে রেল গেইট নির্মাণ করবে এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগ দিবে এবং যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করবে।
কিন্তু দুই মাস অতিক্রম হওয়ার পরও রেলক্রসিংয়ে নিরাপত্তা রেলগেইট নির্মাণ করা হয়নি। তাই বুড়িচং-কালিকাপুর থানা সড়কের চলাচলরত যাত্রী এবং চালকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
স্থানীয়রা জানায়, এই ঢাকা-চট্রগ্রাম রেল পথে শশীদল-রসুলপুর রেল স্টেশন পর্যন্ত প্রায় পাঁচটি রেল ক্রসিংয়ে নিরাপত্তা গেইট নেই, যার কারণে প্রতি বছর ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটে।
ছয়গ্রাম আলিম মাদরাসার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক হাজী আনোয়ার হোসেন বলেন, বুড়িচং-কালিকাপুর-থানা সড়কের ওপর দিয়ে রেলপথ গেছে। কালিকাপুর রেলক্রসিং এলাকায় দুই মাস আগে ৯ জন অটোরিকশা যাত্রী মারা গেছে। এখানে প্রতি বছরই লোকজন ট্রেনে কাটা পড়ে।
তাই সাধারণ যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য এখানে রেলগেইট নির্মাণ করা প্রয়োজন।
স্থানীয়রা জানায়, এই ঢাকা-চট্রগ্রাম রেল পথে শশীদল-রসুলপুর রেল স্টেশন পর্যন্ত প্রায় পাঁচটি রেল ক্রসিংয়ে নিরাপত্তা গেইট নেই, যার কারণে প্রতি বছর ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটে।
কালিকাপুুর গ্রামের বাসিন্দা ছয়গ্রাম আলিম মাদরাসার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক হাজী আনোয়ার হোসেন বলেন, বুড়িচং-কালিকাপুর-থানা সড়কের ওপর দিয়ে রেলপথ গেছে। কালিকাপুর রেলক্রসিং এলাকায় দুই মাস আগে ৯ জন অটোরিকশা যাত্রী মারা গেছে। এখানে প্রতি বছরই লোকজন ট্রেনে কাটা পড়ে।তাই সাধারণ যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য এখানে রেলগেইট নির্মাণ করা প্রয়োজন।
মো জাকির হোসেন নামের স্থানীয় একজন কৃষক বলেন, এই জায়গায় এলে ভয়ে শরীর শিহরে উঠে। ডাবল লাইন হওয়ার কারণে ট্রেন দেখা যায় না, আমাদের নিরাপত্তা নেই।
বাকশীমূল গ্রামের ডালিম কয়েকদিন নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও এখন আর কেউ নেই।।বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাহিদা আক্তার বলেন, দুর্ঘটনার পর স্থানীয়া গেট তৈরির জন্য আন্দোলন করে।
রেল কর্তৃপক্ষ স্থানীয়দের আশ্বাস দেয় উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে ওই স্থানে গেটের ব্যবস্থা করে দিবে। গেটের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন মাস বেতন ভাড়া দেওয়া হবে। কিন্তু রেল বিভাগের পক্ষ থেকে পরে আর যোগাযোগ করা হয়নি।
রেলওয়ে কুমিল্লা অঞ্চলের সিনিয়র সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাজমুল হাসান বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের কুমিল্লা অঞ্চলে ২৭টি অরক্ষিত অবৈধ রেল গেট রয়েছে। এ সব গেটের অধিকাংশ রাস্তাই নির্মাণ করেছে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ।
যেহেতু রাস্তা এলজিইডি কর্তৃপক্ষ নির্মাণ করেছে সেহেতু গেট নির্মাণের দায়িত্বও তাদের। এর খরচ এলজিইডি কর্তৃপক্ষকেই বহন করতে হয়। অরক্ষিত অবৈধ রেল গেইটে নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে কোনো সাড়া মেলেনি। তাই গেট নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না।