মাহফিলগুলোতে রাসুল (দ.)’র শানে শব্দ চয়নে বক্তাদের কে সতর্ক হতে হবে : ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী

ভাইরাল হওয়ার নেশায় অতি স্মার্টনেস দেখাতে গিয়ে কিছু কিছু ধর্মীয় বক্তা মাহফিলে ইসলামের বিভিন্ন স্পর্শকাতর বিষয়ে এবং প্রিয় নবী (দ.)’র শানে শব্দ চয়নে কটাক্ষপূর্ণ লাগামহীন বক্তব্য দিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেছেন মাইজভান্ডার দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) চেয়ারম্যান হযরত শাহসুফি ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী ওয়াল হোসাইনী আল মাইজভান্ডারী। তিনি বলেন, ওয়াজ মাহফিল হলো কুরআন সুন্নাহর আলোকে মানুষ কে সঠিকভাবে দ্বীনের পথে ধাবিত করার অন্যতম মাধ্যম। অথচ এই পবিত্র জায়গাটা কে আজকে কিছু ইসলামিক স্কলার নামধারীরা বিভিন্ন উদ্ভট ও অশালীন শব্দচয়নের মাধ্যমে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা করছে। মাহফিলগুলোতে কেউ কেউ নায়িকাদের সৌন্দর্য ও চেহেরার কাটিং বর্ণনা করছে।

আবার কেউ নবী পাক (দ.), আহলে বায়তে রাসুল (দ.) ও সত্যের মাপকাঠি সাহাবায়ে কেরামগণের শানে অশালীন শব্দচয়ন করে নবী প্রেমিক মোসলমানদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ করছে। মূলত তারা এসব করে যুবক যুবতীদের জন্য হাসি তামাশার রসদ যুগিয়ে মজার ছলে ছলে তাদের ভুল আক্বিদা দর্শন তাদের হৃদয়ে ঢুকিয়ে দিতে চায়। তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন দেশে যখন নবীর শানে অমুসলিমরা কটুক্তি করে তখন আমাদের দেশের মোসলমান যুবকেরা ফুঁসে ওঠে প্রতিবাদের তীব্রতা জানান দেয়। এটা অত্যন্ত ভালো ও প্রয়োজনীয়। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, নিজ মাতৃভূমিতে যখন কিছু লোক ইসলামের লেবাস লাগিয়ে নবীজি ও তার পরিবার নিয়ে কটুক্তি করে তখন কিছু মোসলমান যুবকরা নির্বিকার ভূমিকা রাখে।

বিএসপি চেয়ারম্যান বলেন, মুসলিম জাতি যতদিন নিজেদের আপন নবীকে নিয়ে সবধরনের কটুক্তি বন্ধ করতে পারেনি, ততদিন পর্যন্ত এই জাতির পূর্ণাঙ্গ বিজয় অর্জন সম্ভব নয়। রবিবার (১৯ জানুয়ারী) নরসিংদী, পলাশ, ডাঙ্গা, বিরিন্দা এলাকায় সুরুজ মিয়া মাইজভাণ্ডারীর বাড়ি সংলগ্ন ময়দানে আয়োজিত বাৎসরিক মাহফিলে এসব কথা বলেন হযরত শাহসুফি সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী।

এ সময় তিনি নবী পাক (দ.) শানে যারা কটুক্তি করবে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বিধান চালু করার জন্য সরকারের প্রতি জোরালো আহবান জানান। মোহাম্মদ সুরুজ মিঞা মাইজভাণ্ডারীর সভাপতিত্বে মাহফিলে প্রধান আলোচক ছিলেন, কুমিল্লা ঘিলাতলা দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন মুফতি মাওলানা বাকিবিল্লাহ আল আজহারী, মাওলানা রুহুল আমিন ভূইয়া চাঁদপুরী, মাওলানা মনসুর আলী, মাওলানা খাজা বাহাউদ্দীন প্রমুখ। এসময় বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরাম, স্থানীয় খলিফাবৃন্দ, আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া, মইনীয়া যুব ফোরামের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মিলাদ কিয়াম শেষে মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ, দেশ ও বিশ্ববাসীর শান্তি-সমৃদ্ধি কামনায় আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করেন শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী মাইজভান্ডারী।