
জমিতে নষ্ট হওয়া পেঁয়াজের চারা দেখে নিজেদের ধরে রাখতে পারেননি জমি লিজ নিয়ে ধারদেনা করে আবাদ করা কৃষক জুলহাস শেখ (৬০) ও আলতাব হোসেন শেখ (৫০)। পেঁয়াজের চারা দেখে আহাজারি করতে থাকেন তারা।সেই জমিতে এখন শুধুই ঘাস!
নাটোরের নলডাঙ্গার পিপরুল ইউনিয়নের ভাতঘুরা বিলে এমন ঘটনা ঘটেছে। একটি আগাছা নাশক ব্যবহারের পর কৃষকদের প্রায় ২৫ শতক পেঁয়াজের চারা নষ্ট হয়ে গেছে। খেত দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন কৃষকরা। ক্ষতিপূরণের দাবিতে করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।
জানা গেছে,নাটোরের নলডাঙ্গার পিপরুল ইউনিয়নের ছান্দাবাড়ি গ্রামে কৃষক জুলহাস শেখ ও লিজ নেওয়া প্রায় ১৭ শতক জমিতে”স্টেলা”নামের একটি আগাছানাশক ব্যবহার করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তার কাছ থেকে একই এলাকার আলতাব হোসেন শেখ নামের এক কৃৃষক পেঁয়াজের প্রায় ৮ শতক জমিতে একই ওষুধ প্রয়োগ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী পাভেল শেখ,আরাফাত সানি,আহাদ প্রাংসহ অনেকে বলেন,কৃষকরা জমিতে ঐ ওষুধ প্রয়োগ করা ফলে তাদের সকল পেঁয়াজের চারা নষ্ট হয়ে গেছে। তারা বতমানে দিশেহারা হয়ে পরেছেন। তারা অনেক দরিদ্র কৃষক। কৃষকদের বাঁচাতে কৃষি বিভাগ যেন কৃষকদের পাশে দাঁড়ায়,এমন দাবি করেন তারা।
উপজেলার শ্যামনগর বাজারের আজিজুল হকের,মেসার্স রাকিব এন্টারপ্রাইজ নামের একটি কীটনাশকের দোকান থেকে এই ওষুধ বিক্রি করা হয়েছিল। এটি বাজারজাত করেছে,সিমপেক্স এগ্রো কেমিক্যাল লিঃ।
কীটনাশকের দোকানের মালিক আজিজুল হক,কৃষকের কাছে ঔষুধ বিক্রি করার কথা স্বীকার করে জানান,আমি কৃষকের কাছে ঔষুধটি বিক্রি করেছি। এবিষয়ে উক্ত কতৃপক্ষকে জানানো হইছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা রবিবার(২২ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা কৃষি কর্মকতার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। সেখানে তারা উল্লেখ করেন,দোকানদারের ভুল পরামর্শে আমাদের পেঁয়াজের জমিতে ঘাস মারার উদ্দেশ্যে মিমপেক্স কোম্পানির “স্টেলা” নামক বিষ প্রয়োগ করি। এবং সেই স্টেলা নামক বিষ প্রয়োগ করার কারনে পেঁয়াজের চারা সম্পূর্ণ নষ্ঠ হয়ে গিয়েছে এবং জমিতে আর কোন রকম ঔষধ প্রয়োগ করে স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরিয়ে আনা সম্ভব না। আমাদের মোট ২৫ শতক জমির পেঁয়াজের চারা নষ্ট হয়ে গেছে। তারা ৮০ হাজার টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কিষোয়ার হোসেন বলেন,কৃষকদের কাছ থেকে আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। কৃষকের জমিতে”স্টেলা”নামের একটি আগাছানাশক ব্যবহার করে পেঁয়াজের চারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত কমিটির রির্পোট সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।