
রাতভার টানা বৃষ্টিতে যশোর পৌর এলাকার অধিকাংশ এলাকা পানিতে ডুবে গেছে। পানিতে তলিয়ে আছে রাস্তা ও বসত বাড়ি। ড্রেনগুলো দিয়ে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে খুবই ধীরগতিতে। শহরের পানি নিষ্কাশনের যে ড্রেন তা পরিষ্কার না করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে নাগরিকদের অভিযোগ। তবে এ বৃষ্টিকে আশীর্বাদ হিসেবে দেখছেন জেলা কৃষি কর্মকর্তা।
যশোর আবহাওয়া অফিস থেকে জানা গেছে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত যশোরে ৯৯ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ১১৯ মিলিমিটার। আর বুধবার বৃষ্টি হয়েছিল ৩৫ মিলিমিটার।
ভারি বর্ষণে জলমগ্ন হয়ে আছে যশোরের রাস্তাঘাট। প্লাবিত হয়ে আছে যশোর পৌর এলাকার ৫, ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড। বসত ঘরে পানি ঢুকেছে। ঘরে ও বাইরের জলাবদ্ধতায় চরম ভোগান্তিতে আছেন ওই ওয়ার্ডের মানুষেরা। স্থানীয়দের অভিযোগ অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও শহরের সমস্ত পানি নিষ্কাশনের পথ যে ড্রেন তা গত চার বছর পরিষ্কার করে না পৌরসভা, সে কারণেই এ ভোগান্তি।
শহরের শংকরপুর এলাকার গোলাম মাজেদ বলেন, যশোর শহরের পানি নিষ্কাশন হয় শহরের দক্ষিণ পাশের বিল হরিণায়। সেখান থেকে মুক্তেশ্বরী নদী দিয়ে পানি বেরিয়ে যায়। কিন্তু গত চার বছর ধরে বিল হরিণায় পানি নিষ্কাশনের যে ড্রেন তা পরিষ্কার করে না পৌরসভা।
পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোকসিমুল বারী অপু বলেন, পানি নিষ্কাশনের প্রধান ড্রেনটি কাচা হওয়ায় বারবার ময়লা আবর্জনা জমছে। ড্রেনটি পাকা করে সমস্যার স্থায়ী সমাধানের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মঞ্জুরুল হক বলেন, এখনো পর্যন্ত যে বৃষ্টি হয়েছে। সেটি সামগ্রীকভাবে ফসলের জন্য আশীর্বাদ। বিশেষ আমন ধানের ক্ষেত্রে এই ধরণের পানি বড় আশীর্বাদ। তাছাড়া এই বৃষ্টি পরিবেশ ও প্রতিবেশের জন্য খুবই দরকারি। বিশেষ এই আগামী বোরো মৌসুমে পানির স্তর স্বাভাবিক রাখবে এই বৃষ্টির পানি। তবে এই বৃষ্টি যদি আগামী ৩-৪ দিন বা তারও বেশি স্থায়ী হয় সেক্ষেত্রে সবজির জন্য কিছু ক্ষতি বয়ে আনতে পারে।
তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে যে সকল কৃষক আগাম রবি শস্য চাষের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। সেক্ষেত্রে কিছু সমস্যা সৃষ্টি হবে। আবার এই মুহূর্তে যদি কোন কৃষক কোন ধরণের ফসলের বিজ রোপণ করে থাকেন, তাহলে টানা বৃষ্টিতে কিছুটা ক্ষতির শিকার হতে পারেন।






