
১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ব্রিটিশ শাসনাধীন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে মিয়ানমার। এইদিনে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দিয়েছে ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার।
ইরাবতীর প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমারের সামরিক শাসন ক্ষমতাচ্যুত ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) সরকারের ধর্ম বিষয়ক ও সংস্কৃতি মন্ত্রী থুরা উ অং কো, জনহিতৈষী ও লেখক ড থান মিন্ট অং এবং প্রাক্তন এনএলডি তথ্য কর্মকর্তা, লেখক উ তিন লিন উও এবং আটক সাংবাদিকসহ কয়েকজনকে মুক্তি দিয়েছে। স্বাধীনতার ৭৫তম বছর উপলক্ষে রাজ বন্দিদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে জান্তা সরকার।
জান্তা বুধবার ঘোষণা করেছে, সারাদেশের কারাগার থেকে ৭ হাজার ২১ বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে কতজন রাজনৈতিক বন্দী রয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থুরা উ অং কো মঙ্গলবার রাতে ইয়াঙ্গুনের ইনসেইন কারাগার থেকে মুক্তি পান। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছিল। একই বছরের মার্চ মাসে তাকে ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। ড থান মিন্ট অং এবং ইউ হিতিন লিন উর আত্মীয়রা বুধবার সকালে তাদের স্বাগত জানাতে ইনসিন কারাগারের গেটে অপেক্ষা করছিলেন। বুধবার বিকেলে এই জুটি মুক্তি পায়।
একটি রাজনৈতিক বন্দী গোষ্ঠীর প্রধান উ তুন কি বলেছেন, ‘জান্তা তার নিজের রাজনৈতিক লাভের জন্য রাজনৈতিক বন্দী জিম্মিদের মুক্তি দিয়েছে।’
অন্যান্য আটক সাংবাদিকদের পরিবারের সদস্যরা তাদের স্বজনদের মুক্তির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন। অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স (এএপিপি) এর মতে, মঙ্গলবার পর্যন্ত অভ্যুত্থানের পর জান্তা কর্তৃক প্রায় ১৬ হাজার ৮৬২ জনকে আটক করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ৩ হাজার ৪৬৩ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
এএপিপি-এর যুগ্ম সচিব কো বো চি বলেছেন যে অনেক রাজনৈতিক বন্দী এখনও অবরুদ্ধ, সরকারের সাধারণ ক্ষমা মিয়ানমারের জন্য কোনও অর্থবহ পরিবর্তনের সূচনা করে না। এটি তখনই ঘটবে যখন ড অং সান সু চি, ইউ উইন মিন্ট এবং অন্যান্য সমস্ত রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হবে।’






