হযরত খাজা মইনুদ্দীন চিশতী (রহঃ) ছিলেন সরল জীবনযাপন ও উচ্চ ধ্যান ধারণার মূর্ত প্রতীক :ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী।

মাইজভান্ডার দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) চেয়ারম্যান হযরত শাহসুফি ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী ওয়াল হোসাইনী আল মাইজভান্ডারী বলেছেন, হযরত খাজা গরিবে নেওয়াজ (র.)’র মাধ্যমে পাক-ভারত উপমহাদেশের কোটি কোটি মানুষ ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে এসেছেন।

 

যদি মহান আল্লাহ্ তার প্রিয় অলিকে এ অঞ্চলে প্রেরণ না করতেন, তবে এ অঞ্চলটি কুফরের ঘোর অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকতো। কেয়ামত পর্যন্ত হযরত খাজা গরিবে নেওয়াজ (র।)’র বরকতে মানুষের অন্তরে ইমান, আল্লাহ্ ও রাসুলে করিম (দ.)’র প্রেমের আলো প্রজ্জ্বলিত থাকবে। সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী আরো বলেন, হযরত খাজা মইনুদ্দীন চিশতি (রহঃ) ছিলেন সরল জীবনযাপন ও উচ্চ ধ্যান ধারণার প্রতিচ্ছবি।

 

তার অনাড়ম্বর ও নির্মোহ জীবনযাপন, বিস্ময়কর আত্মনিয়ন্ত্রণ, তার মহৎ আত্নত্যাগ, নিঃস্বার্থ খেদমত, ধৈর্য, ভালোবাসা, সহিষ্ণুতা ও বীরত্বের কারণে তার প্রতি মানুষের প্রবল ভালোবাসা সৃষ্টি হয়েছে।

 

তিনি মহান আল্লাহ্ তায়ালার স্মরণে তার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। বিএসপি চেয়ারম্যান বলেন, তিনি এতই উদার, মানবিক ছিলেন যে, তার লঙ্গরখানা থেকে শহরের সকল দুঃস্থ, অসহায়দের জন্য খাবার বিতরণ করা হতো৷ হযরত খাজা গরিবে নেওয়াজ (রাঃ) এর দরবার থেকে কোন ভিখারী শূন্য হাতে ফেরেননি৷ হযরত খাজা কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকী (রহঃ) বলেন, “আমি খাজা মইনুদ্দীন চিশতি (রহঃ) এর নিকটে আসা কোন ভিখারী বা কোন প্রয়োজনে আসা ব্যক্তিকে কখনো কিছু না নিয়ে ফিরতে দেখিনি।” এ কারণেই তাকে ‘গরিবে নেওয়াজ’ বা ‘গরিবের প্রতি দয়াবান’ বলে অভিহিত করা হয়। সোমবার (৬ জানুয়ারী,২০২৫) নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার ভোলাব ইউনিয়নে আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া ও মইনীয়া যুব ফোরাম ভোলাব ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে আয়োজিত মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যেে এসব কথা বলেন সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী।

আলহাজ্ব মোঃ আলমগীর হোসাইন টিটুর সভাপতিত্বে মাহফিলে উদ্বোধক ছিলেন, ভোলাব ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এডভোকেট কাজী রেজাউল হক। প্রধান বক্তা ছিলেন, কুমিল্লা ঘিলাতলা দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন, পীরে তরিকত মাওলানা মুফতি বাকিবিল্লাহ্ আল আজহারী।

 

বিশেষ আলোচক ছিলেন, মাওলানা রুহুল আমিন ভূইয়া চাঁদপুরী, মইনীয়া যুব ফোরাম কেন্দ্রীয় পরিষদের বিভাগীয় ধর্মবিষয়ক সম্পাদক, হাফেজ ক্বারী মাওলানা মুহাম্মদ কেরামত আলী, হাফেজ ক্বারী মাওলানা খাজা বাহাউদ্দীন মাইজভান্ডারী, শায়ের মাওলানা মনছুর আলী মাইজভাণ্ডারী সহ আরো অনেকেই। মিলাদ কিয়াম শেষে মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ, দেশ ও বিশ্ববাসীর শান্তি-সমৃদ্ধি কামনায় আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করেন শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী ওয়াল হোসাইনী আল মাইজভান্ডারী মাদ্দাজিল্লুহুল আলী।