
প্রতিষ্ঠার ১৬ বছরে শিক্ষাক্ষেত্রে অনেক সফলতা অর্জন করেছেন মিয়াঞ্জ ইন্টারন্যাশনাল কলেজ।কৃষি কোর্স পরিচালনা ও কৃষি গবেষণায় তাদের সাফল্য চোখে পড়ার মত।
শনিবার ২৬ নভেম্বর মালদ্বীপের রাজধানী মালে গিয়াসউদ্দিন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল হল রুমে সকাল থেকে শুরু হয়ে স্থানীয় সময় রাত ১১ টা পর্যন্ত চলে এই সমাবর্তন অনুষ্ঠান।
উক্ত সমাবর্তন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন মিয়াঞ্জ ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক, শিক্ষা উদ্যোক্তা আহমেদ মোত্তাকি, এবং মিয়াঞ্জ ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপের সিইও) মোহাম্মদ হালিম। ভিডিও নিউজ দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন এএনবি২৪ ইউটিউব চ্যানেল।
সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন , হাই কমিশনার রিয়ার এডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ। তিনি তার বক্তব্যে স্নাতক উত্তীর্ণ সকল শিক্ষার্থীদের আন্তরিক অভিনন্দন জানান এবং শীর্ষ মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের প্রতি ডিগ্রি ও পদক বিতরণ করেন। তিনি সকল শিক্ষার্থীদেরকে তাদের অর্জিত শিক্ষা বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করে নিজ দেশ এবং বিশ্বের কল্যাণে অবদান রাখার জন্য অনুপ্রেরণা প্রদান করেন।
হাইকমিশনার এস.এম.আবুল কালাম আজদ বলেন, বাংলাদেশী মালিকানাধীন আহমেদ মোত্তাকির প্রতিষ্ঠিত মিয়াঞ্জ ইন্টারন্যাশনাল কলেজেটির কৃষি বিষয়ক কোর্স পরিচালনায় এবং গবেষণায় তাদের সাফল্য চোখের পড়ার মতো। যাহা মালদ্বীপে বাংলাদেশী প্রবাসীদের জন্য সুনাম অর্জনের এক মাইলফলক । মালদ্বীপ সহ সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে এএনবি২৪ডটনেট ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ।
হাই কমিশনার এমআই কলেজের মাধ্যমে উপযুক্ত শিক্ষা প্রদানে এবং অন্যান্য কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করার জন্য বাংলাদেশি হিসেবে আহমেদ মোত্তাকিকে অনেক ধন্যবাদ জানান। হাই কমিশনার শিক্ষা ও কৃষি ক্ষেত্রসহ অতিতের মত ভবিষ্যতেও মালদ্বীপের উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রয়োজনে বাংলাদেশের সর্বাত্মক সহায়তা প্রদানে তার প্রতিশ্রুতি পুনঃব্যক্ত করেন।আরও পড়ুনঃ মালদ্বীপে সম্মানসূচক অ্যাওয়ার্ড পেলেন কৃষি উন্নয়নে গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ
মালদ্বীপের মিয়াঞ্জ ইন্টারন্যাশনাল কলেজ থেকে সম্মানসূচক অ্যাম্বাসেডর অব এগ্রিকালচার অ্যাওয়ার্ড পেয়োছেন কৃষি উন্নয়নে গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ। কলেজের অষ্টম সমাবর্তনের অনুষ্ঠানে এই পুরুস্কার পেয়েছেন তিনি।
১৬ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত মালদ্বীপের সবচাইতে বড় বেসরকারি কলেজ মিয়াঞ্জ ইন্টারন্যাশনাল কলেজের অষ্টম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক এই কলেজে প্রায় ৪ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে গ্রাজুয়েট হয়েছেন ৮১৭ জন। মালদ্বীপের শীর্ষস্থানীয় এই কলেজটির ৪টি ফ্যাকাল্টিতে ৬১ জনকে বোঝ পড়ানো হয়। এরমধ্যেই কৃষি বিষয়ক কোর্সটি ওই দেশের রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছে। উদ্যোগতারা জানান, শাইখ সিরাজের মাটি ও মানুষের টিভি প্রোগ্রামের অনুপ্রাণিত হয়ে কৃষি কোর্স ও কৃষি গবেষণা কেন্দ্র চালু করেছেন।
উল্লেখ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুরের মিয়াবাড়ির আহমেদ মোত্তাকি ৩০টি বছর ধরে মালদ্বীপে প্রবাসী। প্রবাস জীবনটা দেশটির সরকারি স্কুলে শিক্ষকতা দিয়ে শুরু করলেও এখন তিনি একজন বাংলাদেশি শিক্ষা উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী।
তার মালিকানার মিয়াঞ্জ ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপ মালদ্বীপে বাংলদেশি খাদ্য ও কৃষিপণ্যের বড় আমদানিকারক খ্যাতি পেয়েছে। এ ছাড়াও বিপুল সংখ্যার বাংলাদেশির কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে।