নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া উপকূলে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শঙ্কায় তিন নম্বর সতর্ক সংকেতও বহাল রাখা হয়েছে।
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক জানিয়েছেন- পাবনা, টাঙ্গাইল, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
অন্য এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এর লাগোয়া এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে লঘুচাপ আকারে পূর্ব মধ্য প্রদেশ ও লাগোয়া এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমী বায়ুর অক্ষ হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল, উড়িষ্যা, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত রংপুর, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের রংপুর, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে।
বুধবার দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলিতে, ২৫ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে, ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় বৃষ্টিপাত হয়নি, আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।