আন্তর্জাতিক ডেস্ক
দীর্ঘদিন ধরে গাজা উপত্যকার ক্ষমতায় থাকা হামাস শনিবার ভোরের দিকে আচমকা রকেট নিক্ষেপ শুরু করে ইসরায়েলে। পরে গাজা উপত্যকায় স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে পাল্টা হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। এর ফলে শুরু হয় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে ভয়াবহ যুদ্ধ। সংঘাতের পর থেকে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র। সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র সেনা পাঠাবে কি না, বিষয়টি খোলাসা করেছে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
জন কিরবি বলেছেন, মার্কিন সরকারের ইসরায়েলে সেনা পাঠানোর কোনও ইচ্ছা নেই, তবে যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে মার্কিন স্বার্থ রক্ষা করবে।
তিনি বলেন, ইসরায়েলের কাছ থেকে নিরাপত্তা সহায়তা চেয়ে আরও অনুরোধ আসবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা যুক্তরাষ্ট্র যত দ্রুত সম্ভব পূরণ করার চেষ্টা করবে। তবে ইসরায়েলে মার্কিন সেনা পাঠানোর কোনও পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের নেই।
কিরবি আরও বলেন, হামাসকে সমর্থন করার ক্ষেত্রে ইরানের ‘জড়িত থাকা নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই’। তবে ইসরায়েলে হামাসের হামলায় ইরান সরাসরি জড়িত ছিল এমন কোনও শক্ত এবং বাস্তব প্রমাণ পায়নি যুক্তরাষ্ট্র।
চতুর্থ দিনে হামাসের এই হামলায় নিহত ইসরায়েলিদের সংখ্যা ৯০০ ছাড়িয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে আরও প্রায় ২৫০০ ইসরায়েলি। অন্যদিকে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নিহত হয়েছেন প্রায় ৭০০ ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। এই ঘটনায় ইসরায়েল উপকূলে বিমানবাহী রণতরী পাঠানোর কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া ইসরায়েলে আরও সামরিক সহায়তার কথাও জানিয়েছে দেশটি।
এদিকে ইসরায়েলে হামাসের হামলায় নিহতদের মধ্যে ১১ জন মার্কিন নাগরিক আছে বলে নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন হামাসের হাতে বন্দিদের মধ্যেও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক রয়েছেন।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, দুঃখজনকভাবে এখন আমরা জানি, নিহতদের মধ্যে ১১ মার্কিনি রয়েছে। যাদের অনেকে ইসরায়েলে সেকেন্ড হোম বানিয়ে থাকছিল।
বিবৃতিতে তিনি জানান, নিহত ১১ জন ছাড়াও আরও অনেকে এখনও হিসাবের বাইরে আছে। তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, দেশে হোক কিংবা বিদেশে, মার্কিন নাগরিকদের নিরাপত্তা বিধানই প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
বাইডেন বলেন, আমরা এখনও এটা নিয়ে কাজ করছি যে, সেখানে কতজন বন্দি আছে। তবে এটা মোটামুটি ধরে নেওয়া যায় যে, হামাসের হাতে বন্দিদের মধ্যে আমেরিকানরা আছে।