অনলাইন ডেস্ক :
সেতু ভবনে আগুন ও ভাঙচুরের ঘটনায় করা মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ ছয়জনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বাকি পাঁচজন হলেন—জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এম এ সালাম।
।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক আবু সাঈদ মিয়া আসামিদের ঢাকা মহানগর হাকিম মো. রাশিদুল আলমের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এরপর আদালত তাদের প্রত্যেকের তিনদিনের করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এর আগে গত ১৯ জুলাই রাজধানীর মিরপুরের কাজীপাড়া মেট্রোস্টেশনে ভাঙচুরের মামলায় ডাকসুর সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর, বিএনপি কর্মী মাহমুদ উস সালেহীনসহ আটজনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
কিন্তু অপর মামলায় নুরুল হক ও সালেহীনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কোনো আবেদন করেনি পুলিশ। এর আগে সেতু ভবনের মামলায়ও তাদের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
তদন্ত কর্মকর্তা তার ফরোয়ার্ডিং রিপোর্টে বলেন, আসামিরা সরকারকে উৎখাতের উদ্দেশ্যে সেতু ভবনে পূর্বপরিকল্পিত হামলা চালিয়েছিল। তাই ঘটনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য খুঁজে বের করতে তাদের রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রাজনৈতিকভাবে হয়রানির ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তাদের মক্কেলদের এ মামলায় জড়ানো হয়েছে মর্মে রিমান্ড বাতিলসহ জামিন চেয়ে পৃথক আবেদন করেন।
এর আগে গতকাল ভিয়েলাটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কেএম রেজাউল হাসানাত ডেভিডকে জামিন দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
একই মামলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (মঞ্জু) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ তিন দিনের রিমান্ডে রয়েছেন।
গত ১৮ জুলাই প্রায় ২৫০-৩০০ অজ্ঞাত ব্যক্তি সেতু ভবন প্রাঙ্গণে ঢুকে বেশ কয়েকটি যানবাহন, মোটরসাইকেল, বিভিন্ন শেড ও কক্ষ ভাঙচুর করে এবং পরে আগুন ধরিয়ে দেয়।