লেবাননের ইরান-সমর্থিত শক্তিশালী সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সাথে যুদ্ধ চায় না ইসরাইল। ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ এমন কথাই জানিয়েছেন।
সংবাদমাধ্যম আনাদুলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইল তার উত্তর সীমান্তে লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সাথে যুদ্ধ চাইছে না বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ। ইসরাইল সফরে থাকা ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সাথে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে কথা বলার সময় তিনি এই মন্তব্য করেন।
প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ সতর্ক করে বলেন, হিজবুল্লাহ আগুন নিয়ে খেলছে। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমরা আমাদের উত্তর সীমান্তে কোনো সংঘাত চাইছি না। কিন্তু যদি হিজবুল্লাহ আমাদের যুদ্ধে টেনে নেয়, তবে এটা পরিষ্কার হওয়া উচিত যে- লেবাননকে চড়া মূল্য দিতে হবে।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার পাশাপাশি লেবানন সীমান্তেও হামলার মুখে পড়েছে ইসরাইল। লেবাননের ইরান-সমর্থিত শক্তিশালী সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ উত্তর ইসরাইলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়ে আসছে।
গত ৭ অক্টোবর হামাস-ইসরাইলের সংঘাত শুরুর পর থেকে হিজবুল্লাহ এবং ইসরাইলের সামরিক বাহিনী প্রায় প্রতিদিনই সীমান্তে গুলিবিনিময় করছে। হিজবুল্লাহ ও ইসরাইলের মধ্যে ২০০৬ সালের যুদ্ধের পর এটিই ইসরাইল-লেবানিজ সীমান্তে সবচেয়ে খারাপ সহিংসতার ঘটনা।
অবশ্য ইসরাইল বরাবরই বলছে, হিজবুল্লাহরে সাথে তাদের যুদ্ধে কোনো আগ্রহ নেই। যদি হিজবুল্লাহ সংযত থাকে তবে তারাও স্থিতাবস্থা বজায় রাখবে বলে দাবি করেছে ইসরাইল। কিন্তু ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা এই অঞ্চলে এবং এর বাইরেও বৃহত্তর সংঘাতের ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে, কারণ ইসরাইল গাজায় স্থল অভিযানের নামে অনুপ্রবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
উল্লেখ্য, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে ঘোষণা করে। এর প্রতিরোধে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরাইল।
এক বিবৃতিতে হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ বলেন, গত শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে ইসরাইলে পাঁচ হাজার রকেট বর্ষণের মাধ্যমে ‘অপারেশন আল-আকসা স্ট্রম’ শুরু হয়েছে। এ সময় ইসরাইল গাজা থেকে অনুপ্রবেশের কথা স্বীকার করে।
বস্তুত, ১৯৫৩ সালের পর এই প্রথম এত বড় মাত্রার যুদ্ধ শুরু হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে।
সূত্র : আনাদুলু এজেন্সি