রনার মেয়র আল আরাবিয়া টিভিকে বলেছেন, ভয়াবহ বন্যার পর লিবিয়ার দেরনা শহরে মৃতের আনুমানিক সংখ্যা ২০ হাজারে পৌঁছতে পারে
ভয়াবহ বন্যায় বিধ্বস্ত লিবিয়ার দেরনা শহর। এরই মধ্যে প্রায় চার হাজার মানুষের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের এ সংখ্যা ২০ হাজারে পৌঁছাতে পারে বলে জানিয়েছেন দেরনা শহরের মেয়র। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
গত সপ্তাহে গ্রিসে তাণ্ডব চালিয়ে ঝড় ড্যানিয়েল রোববার ভূমধ্যসাগর অঞ্চলে আঘাত হানে। এ ঝড়ের প্রভাবে দেরনা শহরের বাঁধ ভেঙে সব রাস্তাঘাট তলিয়ে যায়। শহরের বিভিন্ন বহুতল ভবন ঘুমন্ত বাসিন্দাদের ওপরই ধসে পড়ে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট তারেক আল-খারজ বুধবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ভূমধ্যসাগরীয় এই শহরে এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৮৪০ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে ৩ হাজার ১৯০ জনকে দাফন করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কমপক্ষে ৪০০ বিদেশি নাগরিক রয়েছে। যাদের বেশিরভাগই সুদান ও মিশরের।
পূর্ব লিবিয়া প্রশাসনের বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী হিচেম আবু চকিউয়াত বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৩০০ জনের বেশি মরদেহ গণনা করেছেন তারা। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এমনকি দ্বিগুণ হতে পারে।
দেরনার মেয়র আবদুলমেনাম আল-গাইথি সৌদি সংবাদমাদ্যম আল আরাবিয়া টেলিভিশনকে বলেছেন, বন্যায় বেশ কয়েকটি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব জেলার কথা হিসাবে আনলে মৃতের সংখ্যা ১৮ থেকে ২০ হাজারে পৌঁছতে পারে।
এদিকে বন্যায় ব্যাপক হতাহতের পাশাপাশি এখনো হাজার হাজার মানুষ নিখোঁজ। কর্মকর্তারা বলছেন, ১০ হাজার মানুষ নিখোঁজ হয়েছে। তবে জাতিসংঘের দাতব্য সংস্থা ওসিএইচএ জানিয়েছে, এই সংখ্যা অন্তত ৫ হাজার।
নিখোঁজ প্রিয়জনদের উদ্ধারে মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছেন স্বজনরা। দেরনার মেয়র আল-গাইথি বলেছেন, মিশর, তিউনিসিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক ও কাতার থেকে উদ্ধারকারী দল পৌঁছেছে।
তিনি বলেন, আমাদের এখন মরদেহ উদ্ধারে বিশেষ দল প্রয়োজন। ধ্বংসস্তূপের নীচে ও পানিতে অনেক মরদেহ রয়েছে। এ কারণে শহরে মহামারি দেখা দিতে পারে।