মলদ্বীপের উপকণ্ঠে নতুন নৌঘাঁটি বানাবে ভারত, সাগরে নজর রাখতে এ বার লক্ষদ্বীপে যাচ্ছে ‘জটায়ু’
আগামী সপ্তাহের মধ্যেই লক্ষদ্বীপে পৌঁছে যাবে ‘জটায়ু’। লক্ষদ্বীপের মিনিকয় দ্বীপে প্রাথমিক ভাবে রণতরীটিকে রাখা হবে। ওই অঞ্চলের সাগরে কী চলছে, তার উপর নজর রাখবে এই রণতরী।
এই ঘাঁটি বানানো হবে লাক্ষ্যাদ্বীপে। সেখানে পাঠানো হচ্ছে রণতরী ‘জটায়ু’। এই জাহাজটি থেকে মালদ্বীপ সংলগ্ন সাগরে নজর রাখা হবে। আসল উদ্দেশ্য ভারত মহাসাগরে নজরদারি বাড়ানো। সূত্র: আনন্দবাজার
সরকারি সূত্রে বরাত দিয়ে ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই লাক্ষ্যাদ্বীপে পৌঁছে যাবে ‘জটায়ু’। লাক্ষ্যাদ্বীপের মিনিকয় দ্বীপে প্রাথমিকভাবে রণতরীটিকে রাখা হবে। ওই অঞ্চলের সাগরে কী চলছে, তার উপর নজর রাখবে ‘জটায়ু’।
প্রাথমিকভাবে ‘জটায়ু’তে হাতেগোনা কয়েকজন নৌ কর্মকর্তা এবং কর্মীকে পাঠানো হচ্ছে বলে জানা গেছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার পরিধি বাড়বে। আগামী দিনে ‘জটায়ু’কে কেন্দ্র করে লাক্ষ্যাদ্বীপে নতুন একটি নৌঘাঁটি তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের।
আগামী সপ্তাহে নৌবাহিনীর কমান্ডারদের কনফারেন্স প্ল্যান অনুষ্ঠিত হবে আইএনএস বিক্রান্ত এবং আইএনএস বিক্রমাদিত্যের উপরে। সেখানেই লক্ষদ্বীপে আইএনএস ‘জটায়ু’কে কেন্দ্র করে নতুন ঘাঁটি তৈরি করা হবে।
বঙ্গোপসাগরে নজরদারির জন্য আন্দামান ও নিকোবার দ্বীপপুঞ্জের কাছে রয়েছে আইএনএস বাজ। ‘জটায়ু’কে লাক্ষ্যাদ্বীপে পাঠানো হলে আরব সাগরেও ভারতের নজরদারি তেমন জোরদার হবে বলে মনে করা হচ্ছে। লাক্ষ্যাদ্বীপে আপাতত রণতরী ছাড়াও বেশ কিছু হেলিকপ্টার পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে নৌ সেনার। এমএইচ ৬০ কপ্টার সেখানে পাঠানো হবে।
মালদ্বীপে গত নভেম্বরে ক্ষমতায় এসেছেন ভারতবিরোধী শাসক মহম্মদ মুইজ্জু। তার পর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমের এই দ্বীপরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের কিছুটা অবনতি হয়েছে। চীনপন্থী শাসক হিসাবে পরিচিত মুইজ্জু মালদ্বীপ থেকে ভারতকে সেনা সরিয়ে নিতে বলেছেন