আন্তর্জাতিক ডেস্ক
রুশ সেনাদের হটিয়ে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ গ্রাম ক্লিশচিভকা পুনরায় দখলে নেয়ার দাবি করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। বাখমুতের দক্ষিণে অবস্থিত গ্রামটি দখল করতে চলতি সপ্তাহের শুরু থেকে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিল কিয়েভ।
সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
চলতি মাসে ওয়াশিংটন সফর করবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সেখানে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেয়ার পাশাপাশি কিয়েভের জন্য সমর্থন আদায়ের চেষ্টা চালাবেন তিনি। এমন সময় ক্লিশচিভকায় এ বিজয়কে গুরুত্বপূর্ণ অর্জন বলে মনে করছে ইউক্রেন।
ইউক্রেনের স্থল বাহিনীর কমান্ডার ওলেক্সান্ডার সিরস্কি সামাজিক মাধ্যমে বলেছেন, ক্লিশচিভকাকে রাশিয়ানদের থেকে মুক্ত করা হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে বাখমুতের কাছে যুদ্ধরত সেনাদের পাশাপাশি ক্লিশচিভকাকে পুনরুদ্ধারের কাজে যুক্ত থাকা সেনাদের প্রশংসা করেছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।
জেলেনস্কি বলেন, কিয়েভ ‘ইউক্রেনের জন্য নতুন প্রতিরক্ষা সমাধান প্রস্তুত করছে’। আকাশ প্রতিরক্ষা এবং আর্টিলারি এ ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে।
পূর্বাঞ্চলে ইউক্রেনীয় সেনাদের মুখপাত্র ইলিয়া ইয়েভলাশ বলেছেন, ক্লিশচিভকা গ্রামের ওপর নিয়ন্ত্রণ ইউক্রেনের সেনাদের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ আরেক শহর বাখমুত ঘেরাও করতে সহায়তা করতে পারে।
তবে রুশ সেনারা গ্রামটি দখলে নিতে পাল্টা আক্রমণ চালাতে পারে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর আগে ক্লিশচিভকায় কয়েকশ লোক বসবাস করতো। কিন্তু চলতি বছরের জানুয়ারিতে রুশ সেনারা গ্রামটি দখলে নিলে অনেক বাসিন্দা গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নেয়।