মালে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত

দেশের সাথে মিল রেখে প্রতিবছরের ন্যায় এবার ও জাক জমক ভাবে মালদ্বীপে পালিত হয়েছে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দিবসটি উপলক্ষ্যে রাজধানী মালের স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে  আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মালদ্বীপ বিএনপির সভাপতি মো. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  প্রবাসী চিকিৎসক মুক্তার আলী লস্কর। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মালদ্বীপ বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রবিউল আলম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।

 

আলোচনা সভায় বক্তারা ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। ৭ নভেম্বরে সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থানের পরে জিয়াউর রহমানের গণতান্ত্রিক দেশ শাসনের গুরুত্ব নিয়ে বক্তব্য দেন নেতাকর্মীরা। তারা বলেন, জুলাই থেকে শুরু হওয়া গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচার ফ্যাসিবাদী হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে গেলেও তার দোসররা ঘাপটি মেরে বসে আছে। এরা একের পর এক ষড়যন্ত্র করছে। তাদের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে দেশ এবং প্রবাসে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান মালদ্বীপ বিএনপির সভাপতি খলিলুর রহমান।

 

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহ সভাপতি নেহের মিয়া রানা, শাহ আলম, এমরান হোসেন তালুকদার, মো. ফারুক হোসেন, কামাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক খলিলুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক ওমর ফারুক অনিক, কোষাধ্যক্ষ আবদুল্লা কাদের, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাসুম মুন্না, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মাহাফুজ, মহিউদ্দিন, সচিব নুর নবী মানিক, ব্যবসায়ী আবদুল কাদের শিকদারসহ মালদ্বীপ বিএনপি এবং এর অঙ্গ সংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মী।

প্রধান অতিথি ডা. মুক্তার আলী লস্কর বলেন, অন্য দেশের প্রেসিডেন্ট ক্ষমতায় এলেও ফ্যাসিস্ট দলের কোনো স্থান হবে না বাংলাদেশে। দেশকে রক্ষা করার জন্য দেশ প্রেমিক ছাত্র-জনতা এবং বহু দলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী দল-মত-নির্বিশেষে এবং বর্তমান সরকার ও সামরিক বাহিনীকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।