গত ২৫ জুন পার্লামেন্টের ন্যাশনাল সিকিউরিটি সার্ভিসেস কমিটির সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, মালদ্বীপে প্রায় ৯৬ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক রয়েছে।
মালদ্বীপে ৯৬ হাজারের ও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকের মধ্যে ৫ বেশির ভাগ অনিয়মিত হয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশায় কাজ করছে। ফলে ভোগান্তির শেষ নেই এসব রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের। পুলিশি হয়রানি, চুক্তি অনুযায়ী বেতন না পাওয়া বা কম পাওয়াসহ নানান সমস্যা সমাধানের জোর দাবি মালদ্বীপ প্রবাসীদের।
তথ্যমতে, গেল কয়েক দশক ধরেই মালদ্বীপের শ্রমবাজার বাংলাদেশিদের দখলে। পাঁচ লাখের বেশি জনসংখ্যার এই দেশে শুধু বাংলাদেশি শ্রমিকের সংখ্যাই ৯০ থেকে ১ লাখ। অলস মালদ্বীপ বাসীদের কাছে খুবই জনপ্রিয় পরিশ্রমী বাংলাদেশি শ্রমিকরা। তবে দেশটিতে বৈধ কাগজপত্র না থাকায়, অনিয়মিত শ্রমিকের সংখ্যা ৫০ হাজার। এ জন্য ভোগান্তিরও শেষ নেই এসব রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের।
দেশটিতে বড় সমস্যা হচ্ছে, কর্মীদের বেতন ডলারে ধরা হলেও দেওয়া হয় স্থানীয় মুদ্রা রুপিতে। সরকারিভাবে এক ডলারে পাওয়া যায় ১৫ রুপিয়া । কম্পানিগুলো সরকারি দরেই রুপিয়া দিয়ে কর্মীদের বেতন পরিশোধ করে। কিন্তু দেশে পাঠানোর জন্য তাদের আবার ১৭/১৮ রুপিয়াতে ডলার কিনতে হয়। এতে ডলারপ্রতি ৩ থেকে ৪ ডলার (বাংলাদেশি টাকায় ১৫ থেকে ২০ টাকা) বঞ্চিত হয় বাংলাদেশি কর্মীরা।
বাংলাদেশিদের কর্মক্ষেত্রে প্রতারিত হওয়া এবং একই কাজ করেও ভারতীয় বা শ্রীলঙ্কানদের চেয়ে বেতন কম হওয়ার জন্য বাংলাদেশি দালালদেরই দায়ী করছেন প্রবাসীরা। এ বঞ্চনার হাত থেকে বাঁচতে দ্রুতই মালদ্বীপে একটি বাংলাদেশি ব্যাংকের শাখা স্থাপনের জোর দাবি প্রবাসীদের।
বাংলাদেশের শ্রমিক সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে গেছে বলে ঘোষণা দেওয়ার পর ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ থেকে অদক্ষ শ্রমিক নিয়োগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল মালদ্বীপ।
মালদ্বীপের অবৈধ অভিবাসন রুখতে ‘কুরাঙ্গি’ নামে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই পর্যন্ত ১৫০০ বেশি অভিবাসীর বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে । গত এপ্রিলে বাংলাদেশ থেকে অদক্ষ শ্রমিক নিয়োগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।