মালদ্বীপে বিদেশি হস্তক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা চীনের

মালদ্বীপে বিদেশি হস্তক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা চীনের,চীন বলছে, মালদ্বীপের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বহিরাগত হস্তক্ষেপের তারা দৃঢ়ভাবে বিরোধিতা করে।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আমন্ত্রণে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ মুইজ্জু বর্তমানে চীনে রাষ্ট্রীয় সফরে রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতিতে মালদ্বীপ ও চীন বলেছে, তারা নিজ নিজ মূল স্বার্থ রক্ষায় একে অপরকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়েছে।

চীন বলেছে, মালদ্বীপের জাতীয় সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও জাতীয় মর্যাদা সমুন্নত রাখতে তারা দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে এবং মালদ্বীপের জাতীয় অবস্থার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নয়নের পথ অনুসন্ধানকে সম্মান ও সমর্থন করে।

“… এবং মালদ্বীপের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বহিরাগত হস্তক্ষেপের কঠোর বিরোধিতা করে।
,,এদিকে, মালদ্বীপ বলেছে যে তারা এক-চীন নীতির প্রতি দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, “স্বীকার করে যে বিশ্বে কেবল একটি চীন রয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী চীন সরকার সমগ্র চীনের প্রতিনিধিত্বকারী একমাত্র আইনী সরকার এবং তাইওয়ান চীনের ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

মালদ্বীপ বলেছে, তারা চীনের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা ক্ষুণ্ন করে এমন কোনো বিবৃতি বা পদক্ষেপের বিরোধিতা করে, তাইওয়ানের স্বাধীনতা বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যক্রমের বিরোধিতা করে এবং তাইওয়ানের সঙ্গে কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক গড়ে তুলবে না।


মালদ্বীপ এবং চীন আরও বলেছে যে তারা রাষ্ট্রপতি মুইজ্জুর চীন সফরের ফলাফলে সন্তুষ্ট এবং একমত যে মালদ্বীপ-চীন সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এই সফরটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

বুধবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর সফরকে ‘চীন ও মালদ্বীপের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের সূচনা’ হিসেবে বর্ণনা করেন।
সফরকালে দু’দেশের মধ্যে ২০টিরও বেশি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে হুলমালে একটি সমন্বিত পর্যটন অঞ্চল গড়ে তোলার জন্য ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তি এবং রাসমালেতে ৩০ হাজার আবাসন ইউনিট নির্মাণে সহায়তা করবে চীন