প্রথম দিকে মালদ্বীপে তিন বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সী শিশুরা মালদ্বীপের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়ে শিক্ষা গ্রহণ করত, যে বিদ্যালয়গুলো “এধুর্জ” নামে পরিচিত ছিল, সাধরনত একটি বড় কক্ষ অথবা গাছের ছায়ায় এসব বিদ্যালয় তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করত। শিশুরা এসব বিদ্যালয়ে সাধারণ পাটি গণিত, ধিবেহী ভাষা, সামান্য আরবি এবং কুরআন পাঠ করতে শিখত। বর্তমানে এসব বেসরকারি বিদ্যালয়ের কোন অস্তিত্ব নেই, কেননা ১৯৮০ থেকে ১৯৯০ এর দশকে এসব বিদ্যালয়কে পশ্চিমা পদ্ধতির বিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করা হয়েছে। মালদ্বীপের প্রথম পশ্চিমা পদ্ধতির বিদ্যালয় হলো মাজিদিয়্যা বিদ্যালয়, ১৯২৭ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়টি মুলত সহশিক্ষামুলক ছিল, কিন্তু ১৯৪৪ সালে একটি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যলয় প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়, তাই আমিনিয়্যাহ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়।
মালদ্বীপে তিন বছর বয়স থেকেই পড়াশোনা শুরু হয়। শিশুরা এসব বিদ্যালয়ে সাধারণ পাটিগণিত, ধিবেহী ভাষা, সামান্য আরবি ও কোরআন পাঠ করতে শেখে। এ সময়েই তাদের ইংরেজি বর্ণমালার পরিচয় ঘটে। পরিবার ও স্কুল থেকে তারা নৈতিক শিক্ষা লাভ করে। প্রকৃতি ও পরিবেশ তাদের হাসিখুশি, বন্ধুবৎসল হওয়ার ও নারীর প্রতি মর্যাদাপূর্ণ আচরণের অভ্যাস গড়ে দিয়েছে।
মালদ্বীপ এশিয়ার ক্ষুদ্রতম দেশ। সমুদ্রসমেত যার আয়তন ৯০ হাজার বর্গকিলোমিটার, যার মধ্যে ভূমির পরিমাণ মাত্র ২৯৮ বর্গকিলোমিটার, ভূমিপৃষ্ঠ থেকে যার গড় উচ্চতা ১ দশমিক ৫ মিটার।
২০২২ সালের জনশুমারি অনুযায়ী মালদ্বীপের জনসংখ্যা ৫ লাখ ৫০ হাজারের মতো। এসব পরিসংখ্যান বিবেচনায় মালদ্বীপ অন্য কোনো দেশের সঙ্গে তুলনীয় নয়। তবু কিছু তুলনামূলক পরিসংখ্যান এখানে তুলে ধরছি।
মালদ্বীপ একটি উচ্চমধ্যম আয়ের দেশ। ২০২২ সালে মালদ্বীপের মাথাপিছু জাতীয় আয় ১০ হাজার ৮৮০ মার্কিন ডলার, ভারতের ২ হাজার ৩৯০, বাংলাদেশের ২ হাজার ৮২০ এবং ভুটানের ৩ হাজার ৫১২ মার্কিন ডলার।
উচ্চমধ্যম আয়ের দেশ হওয়া ছাড়াও মালদ্বীপ অপেক্ষাকৃত কম আয়বৈষম্যের দেশ। মালদ্বীপের আর্থিক বৈষম্যের জিনি সহগ ২৯ দশমিক ৩ শতাংশ, ভারতের ৩২ দশমিক ৮ শতাংশ, বাংলাদেশের ৩৩ দশমিক ৪ শতাংশ ও ভুটানের ২৮ দশমিক ৫ শতাংশ।
মানব উন্নয়ন সূচকেও মালদ্বীপ এগিয়ে। মালদ্বীপের মানব উন্নয়ন সূচক ০.৭৪৭ ও অবস্থান ৯০, ভারতের মানব উন্নয়ন সূচক ০.৬৩৩ ও অবস্থান ১৩২ এবং বাংলাদেশের মানব উন্নয়ন সূচক ০.৬৬১ ও অবস্থান ১২৯। আসলেই প্রকৃতি ও সমুদ্রের নোনা পানিই তাদের সম্পদ। তাদের মোট দেশজ উৎপাদনের ২৮ শতাংশ ও বৈদেশিক মুদ্রা প্রাপ্তির ৬০ শতাংশ আসে পর্যটন খাত থেকে। পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ খাত মৎস্য। দুটি খাতই প্রকৃতি ও সমুদ্রনির্ভর। তাহলে মালদ্বীপ কী করে উচ্চমধ্যম আয়, উচ্চ মানব উন্নয়ন সূচক ও কম আয়বৈষম্যের দেশে পরিণত হলো?
শিক্ষিত জনগণ ও শিক্ষিত নেতৃত্ব
মালদ্বীপে প্রায় শতভাগ মানুষ লিখতে ও পড়তে জানে। একমাত্র সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সলিহ বাদে সবাই উচ্চশিক্ষিত। বর্তমান প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু যুক্তরাজ্য থেকে পুরকৌশল বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রিধারী। ফলে তাঁরা বুঝতে পেরেছিলেন যে সমুদ্রই তাঁদের একমাত্র সম্পদ। এটাকেই সংরক্ষণ ও বিকশিত করে তাঁদের বাঁচতে হবে। এ জন্য তাঁরা বিদেশ থেকে প্রশিক্ষিত জনবল নিয়ে আসেন।
মালদ্বীপের মোট ৫ লাখ ৫৭ হাজার ৪২৬ জন নিবাসীর মধ্যে ১ লাখ ৭৮ হাজার ১৫৬ জনই (প্রায় এক-তৃতীয়াংশ) বিদেশি, যার মধ্যে বাংলাদেশির সংখ্যা ৯০ হাজারের বেশি। মালদ্বীপে অবস্থান করে
বাংলাদেশি ব্যাংকার, নির্মাণশ্রমিক ও ব্যবসায়ী; ইন্দোনেশিয়ার পর্যটনকর্মী, শ্রীলঙ্কান শিক্ষক ও পাচক, স্পেনের স্নোরকেলিং প্রশিক্ষক, ওলন্দাজ পানিবিশেষজ্ঞ, ভারতের চিকিৎসক, নার্স, হিসাবরক্ষক, জার্মান রিসোর্ট ম্যানেজার দেখেছি। মালডিভিয়ান ও বিদেশি দক্ষ কর্মীরা একসঙ্গে কাজ করে মালদ্বীপকে উচ্চমধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করেছেন। এদের মধ্যে আমাদের বাংলাদেশের নাগরিক যদি একটু উচ্চপর্যায়ের চাকরি করে তাদের অধিনে কাজ করা নিজ দেশের নাগরিক ও ভিনদেশী নাগরিকদের সাথে আচরণ দেখিছি শুনেছি, নিজের দেশের মানুষের ক্ষতি করতে ব্যস্ত সময় পারকরে আমাদের দেশের মানুষ এমন একজন ভুক্তভোগী প্রবাসী বাংলাদেশির সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি সে মালে ও হুলোহুলোমালে সিকুরিটি কোম্পানিতে বাংলাদেশের নাগরিক এর অধিনে কাজ করে সে কোম্পানির থেকে সুযোগ সুবিধা গুলো নিজ দেশের নাগরিক দেরকে দেয়না,দুই মাসের বেতন আটকিয়ে অন্য জাগায় ভালো চাকরি করতে গেলে সুযোগ দেয়না,কিন্তু অন্য দেশের মানুষ গুলো কে সুযোগ সুবিধা করে দেয়। সত্যতা নিশ্চিত করতে এমন আরও অনেক প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাথে কথা বলতেই তারা কান্না করতে শুরু করে। পরে কথা বলে সত্যি জানতে পারলাম। এমন আচরণ করা একজন এর সাথে কথা বলে তাকে বুঝাতে পারিনাই উল্টো সে ভুল বুঝে চলে গেলো।