নির্বাচনকে গণতন্ত্রের পিলার উল্লেখ করে ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, আপনারা (ইসি) কাউকে গ্রাহ্য করবেন না। আপনি আপনার কাজ করবেন। আমার অনুরোধ ফজরের পর ব্যালট পাঠাবেন। কারও কোনো কথা শুনবেন না। ব্যালট পেপার সকালে পাঠাবেন। অতীতে নির্বাচন কমিশন কী করেছে তা থেকে ধারণা নিয়ে নির্বাচন করবেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে গণমাধ্যমের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের নিয়ে ইসির সংলাপে এসব কথা বলেন তিনি।নির্বাচন কমিশনের ওপর মানুষের আস্থা কম উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ আপনাদের দিকে তাকিয়ে আছে। সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য যা যা করণীয় তা করেন।
মাহফুজ আনাম বলেন, জনগণ নির্বাচন কমিশনের দিকে তাকিয়ে আছে। সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য আপনাদের যা যা করণীয় আপনারা তা করেন। আমরা গণমাধ্যম কর্মীরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। আমরা একটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই।
তিনি বলেন, নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের পিলার। আপনারা তা রক্ষায় কাজ করবেন। আমার অনুরোধ ফজরের পর ব্যালট পাঠাবেন। কারও কোনো কথা শুনবেন না। ব্যালট পেপার সকালে পাঠাবেন। অতীতে নির্বাচন কমিশন কী করেছে তার থেকে ধারণা নিয়ে আপনারা নির্বাচন করবেন।
এ সময় নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম বলেন, আমাদের যে ধারণাপত্র দিয়েছেন সেখানে বলা হয়েছে যে অবাধ, নিরপেক্ষ অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য যে অনুকূল পরিবেশ প্রত্যাশা করা হয়েছিল, সেটি এখনও হয়ে ওঠেনি। আমার কথা হলো যদি আপনারা মনে করে থাকেন এখনও অনুকূল পরিবেশ হয়নি, সেটা এক ধরনের সাংঘর্ষিক কিনা।
তিনি আরও বলেন, আপনাদের ভূমিকাটা আরও স্পষ্ট করতে হবে। কী কারণে এখনও অনুকূল পরিবেশ হয়ে ওঠেনি। অনুকূল পরিবেশ না হলে নির্বাচন করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হবে কিনা এবং অংশগ্রহণমূলক হওয়ার ক্ষেত্রে বাধা কিনা?
ভোটকক্ষের ভেতর থেকে সরাসরি সম্প্রচারের গুরুত্বের বিষয়টি তুলে ধরে নঈম নিজাম বলেন, ভোটকক্ষে কেউ যদি কখনও ভেতরে গিয়ে ভোট বাধাগ্রস্ত করে, ভোটারদের জোর করে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে, সেখানে যদি সাংবাদিক, টেলিভিশন মিডিয়াকর্মী উপস্থিত থাকে, তিনি যদি তাৎক্ষণিক সম্প্রচারে চলে যান, তাহলে কি আপনারা আইনগত ব্যবস্থা নেবেন? নাকি এটুকু করতে দেওয়া হবে না।