এএনবি২৪ ডট নেট ডেস্ক।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের পাশে মোকাম ইউনিয়ন এর পরিহল পাড়ায় এক মানসিক ভারসাম্য হীন যুবতী কে গণ ধর্ষণ করে মারাত্মক আহত অবস্থায় সড়কের পাশে ফেলে যায়।
৯৯৯ এ বুড়িচং থানা পুলিশ খবর পেয়ে ওই যুবতী কে রক্তাক্ত ও অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। ওই যুবতী সুস্থ হলে তার অভিযোগ অনুযায়ী ৩ ধর্ষককে পুলিশ গ্রেফতার করে এবং মোবাইল, মাইক্রোবাস সিএনজি উদ্ধার করে।
মামলার বিবরণ ও পুলিশ জানায় গত (২৭ ডিসেম্বর ২০২২) রাত অনুমান ৭ টার সময় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর সংবাদের ভিত্তিতে একজন অজ্ঞান যুবতী মেয়ে অনুমান ১৬ বছর বয়সী অজ্ঞাতনামা যৌনাঙ্গের রক্তাক্ত যখম অবস্থায় বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়ন এর নিমসার পরিহলপাড়া কবরস্থানের পশ্চিম পাশে হতে মুমূর্ষ অবস্থায় যুবতী কে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসার জন্য ।
তার জ্ঞান ফিরলে তার নাম ঠিকানা জিজ্ঞাসাবাদ করে তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান যে সে মানসিকভাবে অসুস্থ। তার বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর থানা এলাকায় অবস্থিত তার বয়স অনুমান ১৬ বছর। ভিকটিমকে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় তাকে অজ্ঞাত স্থান হতে একটি মাইক্রোবাসে তুলে ৩ জন অজ্ঞাতনামা লোক বিভিন্ন স্থানে ঘুরাইয়া এক পর্যায়ে অন্য একটি সিএনজিতে তুলে সন্ধ্যার পর একটি জঙ্গলে নিয়া ভিকটিমকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
যার ফলে তার যৌনাঙ্গ দিয়া রক্তক্ষরণ হতে থাকে। এ অবস্থায় অজ্ঞাতনামা বিবাদীগণ ভিকটিমকে পুনরায় মাইক্রোবাসে তুলে মামলার ঘটনা স্থলে ফালাইয়া অজ্ঞাতনামা আসামিরা পালিয়ে যায় এবং ভিকটিমের সাথে থাকা মোবাইল সেট নিয়ে যায়।
মামলা রুজুর পরবর্তী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরান হোসেন এবং অফিসার ইনচার্জ বুড়িচং থানা মারেফ রহমান দ্ধয়ের দিকনির্দেশনায় মামলা তদন্তকারী অফিসার মোহাম্মদ জাবেদ উল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র), ইনচার্জ দেবপুর ফাড়ি সঙ্গীয় পিএসআই মোহাম্মদ জাহিদুল হক এবং ফোর্স সহ অভিযান পরিচালনা চালিয়ে মামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শন সহ ভিকটিমের মোবাইল নাম্বারের সিডিআর পর্যালোচনা এবং বিভিন্ন টেকনোলজি এনালাইসিস এর মাধ্যমে একপর্যায়ে ভিকটিমের সিম সনাক্তপূর্বক আসামি ১।মোহাম্মদ রাকিব হোসেন (২০)পিতা -মনির হোসেন. সাং -পাইন্না শিকারপুর (মিজানের বাড়ি) বিজয়পুর ইউপি থানা -সদর দক্ষিণ, জেলা কুমিল্লা কে গত ৫ জানুয়ারি কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে এবং তার কাছ হতে ভিকটিমের সিম এবং মোবাইল সেট টি উদ্ধার করে । তাকে জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার বিষয়ে সবকিছু স্বীকার করে তার সহযোগী ২।মুক্তার হোসেন (২৮),পিতা -হাবিব উল্লা,সাং-চৌধুরী খোলা (ট্রাক্টর ড্রাইভার আনোয়ারের বাড়ি) ৩।জহিরুল ইসলাম রুবেল (২৭),পিতা -মৃত আলী হোসেন, সাং -রাজার খোলা (আলী হোসেন এর বাড়ি) উভয় ইউপি বিজয়পুর থানা -সদর দক্ষিণ, জেলা -কুমিল্লা সহ উক্ত ভিকটিমকে পদুয়া বাজার বিশ্বরোড হতে ঢাকায় নামিয়ে দিবে বলিয়া মাইক্রোতে তুলে বিকেল ৩টা হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে ঘুরাইয়া সদর দক্ষিণ থানাধীন শিবের বাজার এলাকা হতে সিএনজি যুগে জেলখানা বাড়ি রোডে রাজার খোলা পাহাড়ে জঙ্গলে নিয়া ধর্ষণ করিয়াছে মর্মে আদালতে স্বীকারোক্তি প্রদান করেন।
উক্ত স্বীকারোক্তি মোতাবেক গত ৬ জানুয়ারি সদর দক্ষিণ থানায় এলাকায় অভিযান পরিচালনা করিয়া উক্ত আসামীদের কে গ্রেপ্তার করা হয় এবং ঘটনার কাজে ব্যবহৃত মাইক্রো বাস ও সিএনজি আটক করে ।এ ঘটনায় বুড়িচং থানার পুলিশ আসামিদের কে কোর্টে মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
এএনবি২৪ ডট নেট ডেস্ক