বুড়িচং কুমিল্লা।।
কোন ভাবেই থামছে না শাসনগাছা টু বুড়িচং- ব্রাহ্মনপাড়া রোডের ভাড়া নৈরাজ্য। সেই সাথে বুড়িচংয়ের সাথে সংযুক্ত প্রতিটি রোডে চলছে ভাড়া নৈরাজ্যে ও বচনা। শাসনগাছা থেকে বুড়িচংয়ের ভাড়া নির্দিষ্ট থাকার সত্ত্বেও যাত্রীরা প্রতিনিয়ত গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। গাড়ি কম থাকলে ৪০, গাড়ি না থাকলে ৫০, বৃষ্টি এলে ৬০, সন্ধ্যা হলে ৫০, রাত ৯টার পরে ৫০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া আদায় করছে সিএনজি চালকরা।
দুই-এক দিন পর পর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেও স্থায়ী কোন সমাধান করতে পারছে না প্রশাসন। প্রশাসন থেকে একাধিক বার ভাড়া চার্ট লাগালেও সে চার্ট একদিনের বেশি থাকে না স্ট্যান্ডে। ভুক্তভোগীরা এই রোডের বাড়তি ভাড়া নিয়ে প্রতিদিনই কেউ ফেইসবুকে লিখছে , অনেকে প্রশাসন ও মিডিয়া কর্মীদের জানাচ্ছে এবং তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, রবিবার এবং সোমবার বেলা ১২ টায় কুমিল্লা থেকে বুড়িচংয়ের নির্দিষ্ট ৩০ টাকার ভাড়া নিচ্ছে ৪০ টাকা। আবার বিকেল ৪ টার দিকে বুড়িচং স্ট্যান্ডে গাড়ি না থাকায় ৩০ টাকা ভাড়া নিচ্ছে ৫০ টাকা। যাত্রীরা প্রতিবাদ করায় অসৌজন্যমূলক ব্যবহার করছে অনেক ড্রাইভার।
আসিফ নামের এক যাত্রী বলেন, এই রোডের ড্রাইভারদের কাছে প্রতিনিয়ত জিম্মি আমাদের মতো সাধারণ যাত্রীরা। প্রতিবাদ করলেই সব ড্রাইভার এক হয়ে তেরে আসে,খারাপ আচরণ করে। বাধ্য হয়ে বাড়তি ভাড়া দিয়ে যেতে হচ্ছে।
পারুল নামের এক যাত্রী বলেন, এরকম আজব রোড দেখছি না। সকালে আসলাম ৩০ টাকা দিয়ে এখন যাওয়ার সময় নাকি ৫০ টাকা ভাড়া। কিছু বললে, বলে গেলে যান- না গেলে নাই। কি করবো আমরা যাত্রীরা যেহেতু তাদের কাছে জিম্মি ।বাধ্য হয়ে যেতে হচ্ছে।
মিজানুর রহমান নামের আরেক যাত্রী বলেন, তাদের জিবির দাম বাড়লো না, গ্যাসের দাম বাড়লো না অথচ প্রতিনিয়ত বাড়তি বাড়া নিচ্ছে। আমি কুমিল্লা চাকরি করি সে সুবাদে প্রতিদিনই সকাল-বিকাল আমাকে যেতে হয়। এর মধ্যে বেশির ভাগই আমাকে বাড়তি ভাড়া দিতে হচ্ছে। কাজ থাকলেও সব সময় চেষ্টা করি রাতের আগে ফেরার জন্য। একদিন রাতে বৃষ্টি থাকায় শাসনগাছা থেকে বুড়িচং আসছি ৮০ টাকা দিয়ে। আমরা যাত্রীরা এ সমস্যার স্থায়ী একটা সমাধান চাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ড্রাইভার বলেন, প্রশাসন বললেই হবে নাকি? জিনিসপত্রের যে দাম ৩০ টাকার ভাড়া নিয়া আমাদের পোষায় না। বুড়িচং থেকে ৪০ টাকা ভাড়া এখন। সব কিছুর দাম বাড়ে কেউ কিছু বলে না আমরা ১০ টাকা বাড়ালে যাত্রীরা পাগল হয়ে যায়। প্রতিদিন জিবি দেওয়ার পরে কয় টাকা থাকে আমাদের। দৈনিক রাস্তার মধ্যে জিবি দেওয়া লাগে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। পারলে জিবি বন্ধ করান আমরাও ভাড়া কমাইয়া নিমু।
এবিষয়ে বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাহিদা আক্তার বলেন, আমরা কয়েকদিন পরপর মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করছি। এটাকে স্থায়ীভাবে বন্ধ করার জন্য আপনাদের কাছে যদি কোন উপায় থাকে জানাবেন । আমি সবার সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেবো।