বুড়িচংয়ের আনন্দপুরে আব্দুস সালাম (রহ:) জামে মসজিদের নাম নিয়ে মিথ্যাচার মুসল্লীদের প্রতিবাদ

 

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার আনন্দপুর পশ্চিম পাড়া আব্দুস সালাম (রহ:) জামে মসজিদের নাম নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করে মিথ্যাচার করেন এলাকার কিছু সুবিধাভোগী।

 

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) এশার নামাজের পরে তাদের এ মিথ্যাচারের প্রতিবাদ জানায় উপস্থিত মুসল্লীরা।

এসময় মুসল্লীরা প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, মসজিদ কারো ব্যক্তির না, মসজিদ হচ্ছে আল্লাহ ঘর। সেই আল্লাহর ঘর নিয়ে এখন কিছু মানুষ ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তারা মসজিদের নাম নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করে মিথ্যাচার করছে।

 

এই আনন্দপুর পশ্চিম পাড়ায় আবদুস সালাম ফকির জীবিত থাকা অবস্থায় একটি মসজিদ করতে চেয়েছিলেন কিন্তু করে যেতে পারেন নাই। এর আগেই তিনি ইন্তেকাল করেন।

পরে ২০০৩ সালে এলাকার কিছু লোক মসজিদ করার জন্য আবার উদ্যোগ নেয়। এখানে সালাম ফকিরের একটি মাজারও রয়েছে। মাজারের পাশে আবদুস সালাম ফকিরের বোন সাংবাদিক গাজী জাহাঙ্গীর আলম জাবিরের আম্মা মরহুমা জহুরা খাতুনের ৬ শতক জায়গা ছিলো। সেই জায়গার জন্য এলাকাবাসী দফায় দফায় জহুরা খাতুনের সাথে কথা বলেন। এক পর্যায়ে তিনি জায়গা দিতে রাজি হয়। সেই জায়গায় আবদুস সালাম (রহ:) জামে মসজিদের নামে দলিল করা হয়। আরও পড়ুনঃ বুড়িচংয়ে মসজিদের নাম নিয়ে বিক্ষোভ মিছিলে হট্টগোল দাতা সদস্যে ক্ষোভ

 

যার দলিল নাম্বার ৪৪৯৬।পরবর্তীতে মুসল্লী বৃদ্ধি পাওয়ায় মসজিদ বড় করতে এলাকাবাসী সম্মতি দেন। তখন পশ্চিম পাশে থাকা আব্দুস সালাম ফকিরের মেয়ে হালিমা আক্তারের ২২ শতক জায়গা ক্রয় করতে যোগাযোগ করেন। কিন্তু তিনি সে জায়গা বিক্রি করতে রাজি হননি। উল্লেখ্য,সেই জায়গায় বাড়ি করার চিন্তা ছিল।পরে সকলের অনুরোধে এক পর্যায়ে সে শর্ত সাপেক্ষে জায়গা দিতে (বিক্রি) করতে সম্মত হয়।

 

মসজিদটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে নামকরণ করা হয় আনন্দপুর পশ্চিম পাড়া আব্দুস সালাম (রহ:) জামে মসজিদ। কিন্তু বর্তমানে একটা শ্রেণীর কিছু লোক নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য মসজিদের নাম নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করে সীমাহীন মিথ্যাচার করছে। তারা কয়দিন মসজিদ ভাগ করে আবার কয়দিন হলে মসজিদ বয়কট করে যা খুবই দুঃখজনক।

তারা ২০২৩ সালের মার্চ মাসে শবে বরাতের রাতে তাবারুকের প্যাকেটে পাক পাঞ্জাতন জামে মসজিদের নামে প্যাকেট করে তাবারুক বিতরণ করতে গেলে মুসল্লীরা প্রতিবাদ করে এবং গন্ডগোল সৃষ্টি হলে এরা পিছু হটে।পরেরদিন আসরের নামাজ শেষে সাধারণ মুসল্লীরা সালাম শাহ নাম বাদ দিয়ে ভিন্ন নাম ব্যবহারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সভা করতে গেলে, সেখানেও তারা আমাদের উপর পুলিশ লেলিয়ে দেয়। এই নাম নিয়ে তারা অনেক ষড়যন্ত্র করছে।

সর্বশেষ গত ৬ তারিখে তারা প্রভাষক মাহাবুব আলম, লিটন মেম্বার, জাহাঙ্গীর আলম, মাহবুব,আলম ও খোরশেদ আলম পেশকারের নেতৃত্বে এলাকার সাধারণ মানুষকে খাবারের আয়োজন করে কথা আছে বলে এক সভার আয়োজন করে। সেখানে আনন্দপুর পশ্চিমপাড়া আব্দুস সালাম রহ: জামে মসজিদ এর নাম নিয়ে মিথ্যাচার, ষড়যন্ত্র এবং সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সাথে প্রশাসনের কাছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানাই।

এ সময় বক্তব্য রাখেন, বর্তমান কমিটির আহ্বায়ক মোঃ আলী মিয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাও. মো. মুমিনুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ হোসেন, সাংবাদিক গাজী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জাবির, মুসল্লি মো. আয়েত আলী, সাবেক ইমাম মাও.মো. গোলাম হাসান সহ আরো অনেকে।