বিবাহের তেরো বছর পর স্ত্রীর নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুললেন স্বামী। বাংলাদেশি যুবতী বৈবাহিক সূত্রে সহজে ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে তাকে ব্যবহার করেছে। নিজের স্ত্রীর বিরুদ্ধে এভাবে প্রতারণার অভিযোগ করে বিচার প্রার্থী হন এক ভারতীয় ব্যবসায়ী।
ঘটনাটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। সেখানকার আসানসোলের বাসিন্দা তাবিস খান। ৩৭ বছর বয়সী প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী পরিবারের সদস্য তাবিস। ২০০৯ সালে সে নাজিয়া কুরেশিকে বিয়ে করেন। নাজিয়া তখন ভারতের উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা বলেই জানতো তাবিশ খান ও তার পরিবার। এদের দাম্পত্য জীবন এভাবে স্বচ্ছন্দে এগিয়ে চলছিল। বিয়ের প্রায় ১৩ বছর পর তাবিশ জানতে পারে যে তার স্ত্রী একজন বাংলাদেশি নাগরিক।
একথা নিজেই পুলিশকে লিখিত ভাবে জানিয়ে নিজ স্ত্রীর বিরুদ্ধে নালিশ করেন আসানসোলের বাসিন্দা তথা কলকাতার ব্যবসায়ী স্বামী। স্ত্রীর জাতীয়তা সম্পর্কে জানতে পেড়ে লোকটি তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনের দ্বারস্থ হয়ে অভিযোগ করেছেন যে, নাজিয়া তাকে ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ভারতের পশ্চিম বঙ্গের আসানসোলের বাসিন্দা তাবিশ এহসান ২০০৯ সালে নাজিয়া আমব্রিন কুরেসিকে বিয়ে করেন। কর্মসূত্রে কলকাতায় বাস করা নাজিয়া পরিচিতি কালে নিজেকে উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা বলেই পরিচয় দিয়েছিল। তাদের বিয়ে উভয় পরিবারের অনুমতিতে শরিয়ত মোতাবেক হয়েছিল বলেও জানা গেছে।
২০২২ সাল অবধি তাদের মধ্যে সম্পর্ক মসৃণ ভাবে চলছিল। চলতি বছরের শুরুতে এদের মধ্যে সম্পর্কের হানি ঘটে। এরপরই নাজিয়ার ব্যবসায়ী স্বামী তার স্ত্রীর নাগরিকতার বিতর্কটি প্রকাশ্যে আনে। বর্তমানে বিষয়টি প্রশাসনিক বিবেচনাধীন। তবে এই ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।