মালদ্বীপের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ মুইজ্জু এর সাথে বিদেশি কূটনীতিকদের সাক্ষাৎ এর দ্বিতীয় দিনে বৃহস্পতিবার তিন দেশের রাষ্ট্রদূতগন সাক্ষাৎ করেছেন।
আজ ৫ সেপ্টেম্বর মালদ্বীপের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ মুইজ্জু এর সাথে বাংলাদেশ, জাপান ও পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতগন সাক্ষাৎ করেন এই সময়ে উপস্থিত ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট হুসেইন মোহাম্মদ লতিফ।
দ্বিতীয় দিনে প্রথমে দুপুর দেড়টায় রাজধানী মালে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর বাসভবন ধীমিয়াথে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রিয়ার এডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ
সাক্ষাতকালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রেরিত অভিনন্দনপত্র হাইকমিশনার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের নিকট হস্তান্তর করেন।
মালদ্বীপের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের দীর্ঘ বন্ধুত্বপূর্ণ ও ভাতৃপ্রতীম সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন।
তিনি উভয় দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও পারস্পরিক সহযোগিতা আরও বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন।
নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের জন্য হাইকমিশনার অনুরোধ জানান। সাক্ষাতকালে মিশনের কাউন্সেলর মো. সোহেল পারভেজ উপস্থিত ছিলেন।
প্রেসিডেন্ট বলেন,তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চান।
এরপর জাপানের রাষ্ট্রদূত তাকুচি মিদোরি দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর সঙ্গে তার বাসভবনে সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎ এর সময় প্রেসিডেন্ট ড.মোহাম্মদ মুইজ্জু বলেন, তিনি তার প্রশাসনের সময় মালদ্বীপ-জাপান সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে এবং নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চান।
জাপান বছরের পর বছর ধরে মালদ্বীপকে বড় ধরনের সহায়তা প্রদান করেছে উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট জাপান এর সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
প্রেসিডেন্ট তার নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নে জাপানের সমর্থন চেয়েছেন।
তাকুচি মালদ্বীপ-জাপান সম্পর্ক জোরদারে এবং মালদ্বীপের উন্নয়নমূলক চাহিদা পূরণে সহায়তা করার জন্য জাপানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
দিনের তৃতীয সাক্ষাৎ করেন পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত ভাইস অ্যাডমিরাল (অব.) মুহাম্মদ ফায়াজ গিলানির সঙ্গে ।
সাক্ষাৎ এর সময় প্রেসিডেন্ট ড.মোহাম্মদ মুইজ্জু বলেন, তিনি তার প্রশাসনের সময় মালদ্বীপ-পাকিস্তান সম্পর্ককে আরও জোরদার করে এটিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চান।
গিলানি উল্লেখ করেন যে মালদ্বীপ ও পাকিস্তানের মধ্যে সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্পর্ক রয়েছে।
তিনি দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার এবং মালদ্বীপের উন্নয়নের চাহিদা পূরণে সহায়তা করার জন্য পাকিস্তানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
বুধবার যুক্তরাজ্য, চীন, ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে একই ধরনের সাক্ষাৎ করেন।
সোমবার বিজয় সমাবেশে প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ মুইজ্জু আসন্ন প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতিকে ‘মালদ্বীপপন্থী’ হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, তার প্রশাসন এই নীতিকে সম্মান করে এমন সব বিদেশি সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করবে।
উল্লেখ গত ৩০ সেপ্টেম্বর বিরোধী দল পিপিএম-পিএনসি’র প্রেসিডেন্ট প্রাথী ড.মোহাম্মদ মুইজ্জু ৫৪ শতাংশ ভোট পেয়ে বর্তমান প্রেসিডেন্ট এমডিপি’র ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহকে পরাজিত করেছে।
নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডক্টর মোহাম্মদ মুইজ্জু আগামী ১৭ নভেম্বর শপথ নেবেন।