বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তার দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাসান চৌধুরী। তিনি বলেন, চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে হলে বিএনপি চেয়ারপারসনকে আপিল বিভাগে আবেদন করতে হবে। রাষ্ট্রপতির কাছেও আবেদন করতে পারবেন।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, যেহেতু ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার আলোকে আবেদনটিতে আগেই খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করা হয়েছিল। এ কারণে আর কোনো সুযোগ নেই অন্য কোনো আদেশ দেয়ার। এখন তাকে আত্মসমর্পণ করে কারাগারে যেতে হবে। জেলখানায় যাওয়ার পরে তিনি জামিন আবেদন এবং বিদেশে চিকিৎসার জন্য আপিল বিভাগে আবেদন করতে পারেন। কারণ সাজার বিরুদ্ধে তার আপিল পেন্ডিং রয়েছে। এছাড়া খালেদা জিয়া তার দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছেও আবেদন করতে পারেন।
এর আগে ভয়েস অব আমেরিকায় দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করাতে হলে তাকে আদালতে গিয়ে আবেদন করতে হবে। আদালত যদি অনুমতি দেন তাহলে তিনি বিদেশে যেতে পারবেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সঙ্গে ভয়ংকর তামাশা করেছে সরকার-দেশে আইনের শাসন নেই : কায়সার কামাল
প্রসঙ্গত, গত ৯ আগস্ট থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া। ৭৮ বছর বয়সি এই নেত্রী ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, কিডনি ও লিভার জটিলতায় ভুগছেন। তার লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য বিদেশ নেয়া জরুরি বলে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের সাজা হয়। সেদিন থেকে কারাবন্দি তিনি। পরে হাইকোর্টে এ সাজা বেড়ে ১০ বছর হয়। এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার আরও সাত বছরের সাজা হয়।
২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে। এরপর প্রতি ছয় মাস পরপর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে সরকার। সবশেষ ১২ সেপ্টেম্বর সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়।