পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে বিএনপি’র ২টি গ্রুপের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ৭ জন, যারা বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বর্তমানে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে ৭ জন সাও জোসে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয় সময় (১২ জানুয়ারি) রোববার দুপুর ২টায় বিএনপি’র উভয় পক্ষের ব্যক্তিগত সমস্যার জের ধরে এই হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- তারেক আহমেদ, সুমন (মিলফোন্তেজ), সামসুজ জামান, গ্লিলমান, জামিল, জুবেল।
পর্তুগাল বিএনপি’র সদস্য সচিব ছায়েফ আহমেদ সুইট বলেন, বিএনপিতে কোনো সন্ত্রাসীদের ছাড় নেই। যারা এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত, তারা পর্তুগাল বিএনপির কোনো পদধারী নয়। যদি পর্তুগাল বিএনপির কেউ এই রকম সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পর্তুগালের লিসবনের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর (পিএসপি) ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্টের মতে, সহিংসতায় ৭ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে দাঁত ভাঙা, পা ও পেটে আক্রমণ, মাথায় কাটা, ছুরির আঘাত রয়েছে। হামলায় আহত হয়ে চারজন পুলিশ ফাড়িতে সাহায্যের জন্য আসলে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিদর্শন করি।
পর্তুগাল বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতা রানা তাসলিম উদ্দিন জানান, বাংলাদেশিদের দুই পক্ষের এই ধরনের হামলা অত্যন্ত দুঃখজনক। পর্তুগালের আরেকটি শহর থেকে এসে বাংলাদেশী পাড়ায় নামধারী কিছু সন্ত্রাসীরা এই হামলা চালিয়েছে। আমি যতটুকু জানি, হামলার পর থেকে পর্তুগাল গোয়েন্দা সংস্থা অস্ত্রধারী হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে কাজ করছে। সর্বপরি, এই ঘটনায় পর্তুগীজদের কাছে বাংলাদেশীদের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। আমি এই ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই।
উল্লেখ্য, দুই পক্ষের এই হামলার ঘটনায় পর্তুগালের বাংলাদেশ কমিউনিটিতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পাশাপাশি বাংলাদেশী এলাকায় রুয়াদো বেনফর্মোসোতে আজ সারাদিন পর্তুগীজ টিভি চ্যানেল ও পুলিশের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।